নিউজ ডেস্ক : ২০১৪ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে ভারতবর্ষে কেন্দ্রীয় স্তর থেকে এবং রাজ্য সরকারের স্তর থেকে নানা পর্যায়ে গণতন্ত্রের মৌলিক অধিকারগুলো খর্ব করায় অগ্রগামী ছিল ভারতের বর্তমান ক্ষমতাসীন দল বিজেপি। কখনো বৈষম্যমূলক নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাস করে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কারীদের উপর পুলিশ এবং আধা সামরিক বাহিনীর সাহায্যে নজিরবিহীন ভাবে বল প্রয়োগ। আবার কখনো কাশ্মীরে সংবিধানে স্বীকৃত সমস্ত মৌলিক অধিকারগুলো ছিনিয়ে নেওয়া। এছাড়াও গণতান্ত্রিক সমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলিকে সেই সমস্ত বিরোধী দলীয় নেতা নেত্রীদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা যারা সরকারবিরোধী এবং বিজেপি বিরোধী অবস্থান গ্রহণ করে।
এবার গণতন্ত্রের ধ্বংসলীলায় উত্তরাখণ্ড রাজ্যের গেরুয়া শিবির আরো এক নজিরবিহীন পদক্ষেপ গ্রহণ করল। সে রাজ্যে এবার থেকে বিজেপির এবং বিজেপি শাসিত সরকারের কোনো নেতা, নেত্রী বা নীতি-কর্মসূচির বিরুদ্ধে মন্তব্য করলে তাদের পাসপোর্ট দেবে না সরকার। কিছুদিন আগে বিহারে বিজেপির গঠিত জোট সরকার ঘোষণা করে, বর্তমানে সারা ভারতজুড়ে চলমান কৃষক আন্দোলনে অংশ নেয়া ব্যক্তিদের সরকারি চাকরি মিলবে না। তার আগে বেহারের বিজেপির জোট সরকার এমন নিয়ম জারি করেছে যাতে বলা হয়, সরকারের কোনো পদক্ষেপ বা নীতির সমালোচনা করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে মন্তব্য করলে সেটি দণ্ডনীয় অপরাধের শামিল বলে গণ্য করা হবে।
এর আগে এমন ঘটনা বিজেপি শাসিত রাজ্যে আরো দেখা গিয়েছে। বৈষম্যমূলক নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারীদের গ্রেফতার করে অনির্দিষ্টকালের জন্য তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদসহ নানা গুরুতর অপরাধের মিথ্যা অভিযোগ তুলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে যোগীর উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। এমনকি যে সমস্ত প্রতিবাদকারী নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বিরোধী প্রতিবাদ কর্মসূচিগুলোতে অংশগ্রহণ করেছিলেন তাদের বাড়িঘর ধ্বংস করে দেয়া হয় পুলিশের তরফে এবং তাদের সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয় কট্টর হিন্দুত্ববাদী সরকারের তরফে। গণতন্ত্রের ধ্বংসলীলায় বিজেপির এই সক্রিয় অবদান এর ব্যাপারে সোচ্চার হয়েছেন ভারতের আপামর বুদ্ধিজীবি মহল। এ ব্যাপারে টুইট করেছেন প্রখ্যাত আইনজীবী প্রশান্ত কিশোর।