নিউজ ডেস্ক : কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ইতিমধ্যেই বাংলায় নির্বাচনী প্রচার অভিযানে বলেছিলেন বিজেপিকে ক্ষমতায় আনুন আমরা বাংলাকে উন্নত সমৃদ্ধ এক সোনার বাংলায় পরিণত করবো। ডায়মন্ড হারবারের সভায় সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া রাজীব ব্যানার্জি বলেছিলেন, রাজ্যে ক্ষমতায় আসলে বিশেষ আর্থিক প্যাকেজ দেবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ক্ষমতায় আসলে কী হবে সেটা সময় বলবে, আপাতত বাংলার প্রাপ্তি শূন্যই। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ক্ষতিপূরণ হিসেবে চার রাজ্যকে এবং একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে ৩১১৩ কোটি টাকার প্যাকেজ দিল অমিত শাহের নেতৃত্বাধীন কমিটি। কিন্তু আমফানে চরমভাবে বিধ্বস্ত এবং ক্ষতিগ্রস্ত পশ্চিমবঙ্গ কিছুই পেল না অমিত শাহের নেতৃত্বাধীন এই কমিটির থেকে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং পঙ্গপালের হানার কারণে তামিলনাড়ু, বিহার, অন্ধ্রপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পুদুচেরি পেল এই আর্থিক প্যাকেজ। গতবছর আমফানের দাপটে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল বাংলা। কিন্তু পাওয়া গেল না কোনও কেন্দ্রীয় সাহায্য। প্রসঙ্গত, আমফানের জন্য কেন্দ্রের অনুদান নিয়ে অনেকদিন ধরেই টানাপোড়েন চলেছে কেন্দ্র এবং রাজ্যের মধ্যে।
জানা গেছে, অন্ধ্রপ্রদেশ পাচ্ছে ২৮০.৭৮ কোটি টাকা, বিহার ১২৫৫.২৭ কোটি টাকা, তামিলনাড়ু নিভারের জন্য ৬৩.১৪ কোটি এবং ঘূর্ণিঝড় বুরেভির জন্য ২৮৬.৯১ কোটি টাকা। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পুদুচেরি পাচ্ছে ৯.৯১ কোটি। পঙ্গপাল হানার জন্য মধ্যপ্রদেশ পাচ্ছে ১২৮০.১৮ কোটি টাকা।
এদিকে বারবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে আর্থিকভাবে বঞ্চনা অভিযোগ করেছেন, যা বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব উড়িয়ে দিয়েছেন কিন্তু এবার তা সত্য বলেই মনে হচ্ছে অনেকের কাছে। বারবার তৃণমূল কংগ্রেস এবং কংগ্রেস সহ অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো অভিযোগ করেছে কেন্দ্রের মোদি সরকার বিজেপি শাসিত রাজ্য গুলো তে কোন বিপর্যয় এর ক্ষেত্রে যেভাবে আর্থিক প্যাকেজ নিয়ে এগিয়ে যায় তেমনটা দেখা যায় না যদি রাজ্যটি বিজেপি শাসিত না হয়। বর্তমানে এই অবস্থায় আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে অমিত শাহের বাংলা কিভাবে বঞ্চিত করাকে বাংলার জনগণ কিভাবে কোন দৃষ্টিতে দেখবেন সেটা এখন দেখার।