মায়ের কান্না দেখে রাজিব ঘনিষ্ট নেতা তৃণমূলেই আছেন, বললেন, সর্বশক্তি দিয়ে জেতাবো তৃণমূলকে

নিউজ ডেস্ক : দলবদল এর আসরে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে যখন বহু নেতা-নেত্রীরা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শুভেন্দু অধিকারীর পিছু পিছু বিজেপিতে যোগদান করেছেন তখন ঠিক তার ব্যতিক্রমী ঘটনা লক্ষ্য করা গেল এবার। ‘মায়ের চোখের জল’ দেখে সিদ্ধান্ত বদল করলেন ‘রাজীব ঘনিষ্ট’ নেতা। বললেন, ‘বিজেপিতে যোগ দিতে চান না। তৃণমূলে থেকেই কাজ করতে চান। ডোমজুরে সর্বশক্তি দিয়ে লড়াই করে দলের প্রার্থীকে জেতাব’। ‘যদি ভুল বুঝতে পারেন, তাহলে ভালো’, প্রতিক্রিয়া মন্ত্রী অরূপ রায়ের ।

ডোমজুরের তৃণমূল পরিচালিত সলপ ১ নম্বর পঞ্চায়েত  উপপ্রধান জ্যোর্তিময় ঘোষ, এলাকায় গোপাল ঘোষ নামেই বেশ পরিচিত তিনি। এলাকার প্রাক্তন বিধায়ক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় যখন দলের বিরুদ্ধে ‘বেসুরো’ মন্তব্য করছিলেন, তখন তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন গোপাল। এরপর দিল্লিতে অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বিজেপিতে যোগ দেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি প্রাক্তন বনমন্ত্রীর সঙ্গে বিজেপি পার্টি অফিসেও দেখা গিয়েছে তৃণমূলের উপপ্রধানকে। স্বাভাবিক কারণেই জোর গুঞ্জন চলছিল রাজনৈতিক মহলে। অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন, গোপাল ঘোষের দলবদল স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু বাস্তবে তা ঘটল না। তৃণমূলেই থাকছেন তিনি।

জানা গিয়েছে, গোপালের দলবদলের সিদ্ধান্তে অশান্তি শুরু হয় পরিবারে। ছেলেকে নানাভাবে বোঝানোর চেষ্টা করেন তার মা। স্পষ্টতই বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মমতাময়ী। তৃণমূল ছাড়া অন্য কোনও দলকে ভোট দিতে আমার হাত কাঁপবে’। এতটাই আঘাত পান যে, কেঁদে ফেলেন ওই বৃদ্ধা। এরপরই মত বদলান তৃণমূলের এই উপপ্রধান। কিছুটা আবেগতাড়িত হয়েই যে বিজেপিতে যোগদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, সেকথা স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি।   

এই ঘটনায় কী প্রতিক্রিয়া তৃণমূলের? দলের হাওড়া (সদর) জেলার সভাপতি, মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, ‘গোপালবাবু যদি ভুল বুঝতে পারেন, তাহলে ভালো’। তাঁর দাবি, ‘বিজেপির মতো দলে কেউ আত্মসম্মান নিয়ে কাজ করতে পারে না। যাঁরা গিয়েছে, তাঁদের অনেকেই ফিরে আসবে’।

Latest articles

Related articles