কংগ্রেসের ৬ MLA কিনে এবার পন্ডীচেরিতে সরকারের পতন ঘটালো বিজেপি

নিউজ ডেস্ক : বিধানসভা নির্বাচনের সময় ১৫ শতাংশ ভোটারের ও সমর্থন জোগাড় করতে পারেনি বিজেপি। কিন্তু ঘোড়া কেনাবেচা সিদ্ধহস্ত বিজেপি নেতৃত্বের কল্যাণে গত কয়েক দিনে ৬ জন কংগ্রেস এমএলএ যোগ দিয়েছেন গেরুয়া শিবিরে। আর সেভাবেই কর্ণাটক মধ্যপ্রদেশ গোয়া এরপর পন্ডিচেরিতে সরকারের পতন ঘটালো বিজেপি। কংগ্রেসের অভিযোগ,কেন্দ্রে বিজেপি সরকার সি বি আই, ইডি, এন আই এ এর মত সংস্থাগুলিকে নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করে এবং দুর্নীতির সাহায্যে একত্রিত করা অর্থ ব্যবহার করে ঘোড়া কেনাবেচা করে বিরোধী দলের সাংসদ, বিধায়ক এবং নেতা-নেত্রীদের ক্রয় করে সরকার ফেলে দেওয়ার জন্য সবসময় চেষ্টা করে আসছে। কিন্তু আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন পন্ডিচেরিতে অনুষ্ঠিত হবে এপ্রিল মাসে। কংগ্রেস নেতৃত্ব জানিয়েছেন, জনগণ আবার কংগ্রেস সরকার গঠন করবেন এই নির্বাচনে।

কংগ্রেস সরকার আস্থা ভোটে পরাজিত হল। বিধানসভায় স্পিকার জানালেন, সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে না পারায় ক্ষমতায় থাকার অধিকার নেই এই সরকারের। রাজনৈতিক সঙ্কট তীব্র হয়ে উঠেছে সেখানে।

ভি নারায়ণস্বামীর বলেছেন– তিনি নিজে, তাঁর মন্ত্রীদল, কংগ্রেস ও ডিএমকে বিধায়ক সকলেই পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন, আশাকরি তা গৃহীত হবে।

তবে এর আগে এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেছেন পুদুচেরির মুখ্যমন্ত্রী ভি নারায়ণস্বামী। কয়েকজন বিধায়কের ইস্তফার মধ্য দিয়ে রাজ্য বিধানসভার ২৬টি আসনের মধ্যে শাসক জোটের শক্তি দাঁড়িয়েছিল ১১। এবং তাঁর নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকার কার্যত সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছিল। তাঁর অভিযোগ, এর পিছনে বিজেপির কৌশল আছে। নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন বিজেপি তাঁর সরকার ফেলে দিতে চেয়েছে। প্রসঙ্গত, এপ্রিল-মে নাগাদ ভোট আছে পুদুচেরিতেও।

পুদুচেরিতে কংগ্রেস সরকার সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছে— বিরোধীদের এই দাবি মেনে সোমবারই নারায়ণস্বামীর সরকারকে আস্থাভোট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন স্পিকার ।

Latest articles

Related articles