নিউজ ডেস্ক : দক্ষিণ ভারতের বেশিরভাগ রাজ্যে বিজেপির জনপ্রিয়তা উত্তর ভারতের রাজ্য গুলোর তুলনায় খুবই কম। আর সেইসব রাজ্যগুলির মধ্যে অন্যতম তামিলনাড়ুতে কয়েক মাসের মধ্যেই অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বিধানসভা নির্বাচন। নির্বাচনকে সামনে রেখে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নির্বাচনী প্রচারাভিযান শুরু করে দিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি বিজেপি। তবে তামিলনাড়ুতে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়িয়ে যে ভোট পাওয়া যাবে না এটা খুব ভালভাবেই জানে তামিলনাড়ুর বিজেপি নেতৃত্ব। সেজন্য তারা সেখানে ভোট প্রচারের জন্য এবং জনসাধারণের কাছে ভোট চাইতে ব্যবহার করছে কংগ্রেস নেতার ছবি। একইসঙ্গে অনেকগুলো রাজ নেতার ছবি দেখা যায় তামিলনাড়ুর এক শহরে। যেখানে বিজেপির প্রাণপুরুষ মোদির তুলনায় অনেক বড় ছবি টাঙানো হয়েছে তামিলনাড়ু কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি এবং তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাজামাজারের।
শুধু রাজামাজারের ছবি নয় মোদির তুলনায় অনেক বড় স্থান পেয়েছে এডিএমকে নেতা জি এম রাম চান্দ্রণ ও। মোদী, অমিত শাহ, নাড্ডা থেকে শুরু করে বিজেপির পূর্বতন আইডল সাভারকার গোলওয়ালকারদের বাদ দিয়ে তামিলনাড়ুতে ধর্মনিরপেক্ষ এই সমস্ত মুখ ব্যবহার করে ভোট ময়দানে নামা বিজেপির বিরুদ্ধে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে। তামিলনাড়ু বিজেপিকে কটাক্ষ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলগুলো ও।
তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মত, নরেন্দ্র মোদির গত বেশ কয়েকটি তামিলনাড়ু সফরের সময় তামিলনাড়ুতে জনসাধারণ আদৌ ভালোভাবে সাড়া দেখায়নি বরং যখনই মধ্যে দক্ষিণ ভারতের এই রাজ্যে সফরে গিয়েছেন তখন তামিলনাড়ু কেরালা তেলেঙ্গানা অন্ধপ্রদেশের রাজ্যগুলি থেকে গো ব্যাক মোদি টুইটারে ট্রেন্ডিং হতে দেখা গেছে। যা থেকে সুস্পষ্ট যে বিজেপির সাম্প্রদায়িক এবং ঘৃণার রাজনীতি তা সে রাজ্যের মানুষ কখনই ভাল চোখে দেখেনা। এই বিষয়টি অনুধাবন করেই বিজেপি নেতারা অন্য পন্থায় রাজ্যটিতে নিজেদের রাজনৈতিক প্রভাব বৃদ্ধি করতে চাইছে। যদিও তেমন নিজেদের রাস্তা পরিবর্তন করে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার এর প্রতিষ্ঠা বিজেপির জন্য আজ নতুন নয়। সারা ভারতের বিভিন্ন জায়গায় গোহত্যা গোমাংস ইত্যাদি নিয়ে রাজনীতি করে মানুষ খুন করা বিজেপি কেরালায় গত নির্বাচনের সময় নির্বাচনী ইশতেহারে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তারা ক্ষমতায় আসলে গোমাংসের সরবরাহ নিশ্চিত করবে। গোয়াতে ও ঠিক এমনই কাজ করছে প্রমোদ সাওয়ান্ত পরিচালিত বিজেপি সরকার। তবে এবারের বিজেপির এই কৌশল তামিলনাড়ুতে আদৌ কোনো কাজে আসবে নাকি উল্টে তাদের গলার ফাঁস হয়ে দাঁড়াবে তা সময়ই বলে দেবে।