তাজমহলে শিবপুজো করার অভিযোগে বৃহস্পতিবার এক মহিলা সহ ৩ জনকে আটক করল সিআইএসএফ। ধৃতদের পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে কাদের প্রশ্রয়ে বা মদতে কোনো গেরুয়া উগ্রবাদী এই কাজ করতে পারে? উল্লেখ্য এমন ঘটনা যোগী মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর বেশ কয়েকবার ঘটেছে। কিন্তু সরকার তাদেরকে তাৎক্ষণিকভাবে লোক দেখানো ভাবে গ্রেফতার করলেও পরে ছেড়ে দেয়। এর পেছনে কি উগ্র হিন্দুত্ববাদী যোগী সরকারের হাত আছে কি না তদন্ত করে দেখার দাবি মুসলিমদের।
আজ মহা শিবরাত্রি। এদিন সকালে তাজমহল চত্বরে সেন্ট্রাল জলাশয়ের কাছে দিয়ানা বেঞ্চের সামনে এক মহিলাকে বসে থাকতে দেখেন সিআইএসএফ কর্মীরা। কাছে গিয়ে দেখেন রীতিমতো মন্ত্র পড়ে আরতি করছেন তিনি। এরপরেই তাঁকে আটক করা হয়। তাঁর দুই সঙ্গীকেও আটক করা হয়েছে। ধৃত মহিলার নাম মীনা দিবাকর। স্থানীয় হিন্দু মহাসভা শাখার চেয়ারপার্সন তিনি। শিবরাত্রিতে শিবপুজো করতেই তাজমহলে এসেছিলেন। বিধিভঙ্গের অভিযোগে ধৃতদের তাজগঞ্জ পুলিশের হাতে তুলে দেয় সিআইএসএফ। ধৃতদের থানায় নিয়ে যাওয়ার খবর পেয়ে সেখানে যান হিন্দু মহাসভার জাতীয় মুখপাত্র সঞ্জয় জাট ও জেলা সভাপতি রৌনক ঠাকুর।
নিয়ম অনুযায়ী তাজমহল চত্বরে কোনওরকম ধর্মীয় রীতি–নীতি নিষিদ্ধ।
গত বছর অক্টোবরেও তাজমহল চত্বরে হনুমান চালিশা পাঠের অভিযোগে এক মহিলাকে আটক কর হয়। তাজমহলকে তেজমহল নামক ভুয়া কাল্পনিক শিব মন্দির দাবি করে সেখানে পূজা করতে চেয়ে বার বার আদালতে গিয়েছে উগ্র হিন্দুত্ববাদিরা।