পাড়ার চা দোকানের মতো লোকও হলো না যোগীর সভায়,দলবদলের চমক ছাড়া বিজেপির কোনো সাফল্যই নেই নির্বাচনী ময়দানে

NBTV ONLINE DESK

NBTV ONLINE DESK

IMG_20210316_165429

নিউজ ডেস্ক : রাজ্যে নাকি বিজেপির একটা হওয়া চলছে। তাও আবার মোদীর হাত ধরে পরিবর্তনের হাওয়া। সে জন্যই সব জায়গায় বাস নামিয়ে পরিবর্তন যাত্রার সূচনা করছে বিজেপি নেতারা। কিন্তু সেই সব পরিবর্তন যাত্রায় শ খানেক লোক তো হচ্ছে না। আর লোকের দেখা নেই বিজেপির উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের জনসভায় ও। আজ পুরুলিয়ায় যোগীর জনসভায় তো পাড়ার ভিড়ে ভরা চা দোকানের মতো লোকও হলো না। প্রশ্ন উঠছে বিজেপির হওয়া কোথায় নিয়ে যাচ্ছে লোকেদের? পরিবর্তন যাত্রা জনসমর্থন হীন কেন??

জঙ্গলমহলে সভা করেছিলেন তৃণমূলে নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর পালটা মঙ্গলবার সভা করলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা যোগী আদিত্যনাথ। বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছিল, কোণায় কোণায় ভিড়ে ঠাসা থাকবে ময়দান। কিন্তু ছোট মাঠই এদিন ভরাতে পারল না বিজেপি। কার্যত ফাঁকা মাঠেই হিন্দুত্বের আস্ফালন করলেন বিজেপির হিন্দুত্বের পোস্টার বয় আদিত্যনাথ। অবশ্য মুখ রক্ষায় রাজ্যের শাসকদল বিজেপির সমর্থকদের সভায় আসতে দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন বিজেপির তারকা প্রচারক যোগী আদিত্যনাথ। যদিও রাজ্যে একের পর পর এক পুলিশ অফিসার পরিবর্তন করে বিজেপি নিজেদের সুবিধা মতো রাজনৈতিক মহল তৈরি করে নিয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে জোর করে মানুষকে এখন আটকে রাখা কার্যত অসম্ভব। তাই যোগী যে নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতেই উল্টো পাল্টা বলছেন তা বুঝতে পারছেন সবাই।

এদিনের সভা ছিল বলরামপুরে বানেশ্বর মাহাতোর সমর্থনে। এটা মমতার পালটা সভা বলে প্রচার করা হয়েছিল। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, বলরামপুরের বিজেপির সভা কার্যত ফ্লপ। সেই সভা থেকেই যোগীর দাবি, “২০১৯ সালে আমি পুরুলিয়া (Purulia) এসেছিলাম। সেই সময় আমার হেলিকপ্টার নামতে দেয়নি বাংলার সরকার। ঝাড়খন্ডে নেমে তারপর সড়ক পথে এসে আমি দেখেছি এখানকার মানুষের কত উৎসাহ তাই আমি এবার ঠিক করেছি নির্বাচনী প্রচার পুরুলিয়া থেকে শুরু করব।” তবে তাঁর সভায় যে ভিড় হয়নি, তা মানতে রাজি নন যোগী। ফাঁকা সভা নিয়ে তাঁর হাস্যকর সাফাই,”আমি হেলিকপ্টার থেকে দেখছিলাম এখানকার কার্যকর্তাদের সভায় আসতে দেওয়া হচ্ছে না। তাঁদেরকে বাধা দিচ্ছে বিভিন্ন জায়গায় আটকে দিচ্ছে পুলিশl আমার বিশ্বাস ছিল সেই বাধা ভেঙে সভায় ভিড় হবে। পরে সবাই ভিড় তা প্রমাণ করে দিয়েছে।” তবে কোনো ভিড়ের ছবি বিজেপি নেতৃত্ব এখনও দেখাতে পারেননি।

তবে এদিনের যোগীর ‘ফাঁকা’ সভা নিয়ে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধায়ও। বললেন, বাংলায় জিততে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা দিল্লি থেকে ডেলি প্যাসেঞ্জার করছেন। প্রচার করতে উত্তরপ্রদেশ থেকে যোগী আদিত্যনাথকে আনছে। অথচ তাঁদের সভা ভরছে না। পুরুলিয়ার মানুষ বহিরাগতদের প্রত্যাখ্যান করেছে।”

Facebook Comments Box

সম্পর্কিত পঠিত খবর

সর্বশেষ খবর