গুজরাট দাঙ্গায় মোদিকে ক্লিনচিটের বিরুদ্ধে মামলা, সুপ্রিম কোর্টে শুনানি এপ্রিলে

নিউজ টুডে : গুজরাটে ২০০২ সালের মুসলিম নিধন যজ্ঞে মোদিকে ক্লিন চিট দেওয়ার বিরুদ্ধে করা মামলায় এবার শুনানি হতে চলেছে সুপ্রিম কোর্টে। মোদিকে দেওয়া এই ক্লিন চিটের বিরুদ্ধে প্রয়াত সাংসদ এহসান জাফরির স্ত্রী জাকিয়া জাফরির করা মামলায় শীর্ষ আদালতে শুনানি হবে আগামী ১৩ ই এপ্রিল তারিখে। বিভিন্ন রাজ্যে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে এই শুনানি তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন অনেকে। যদিও বিশেষজ্ঞ মহলের ধারণা, যে ভাবে বাবরি মসজিদের রায় দেওয়া হয়েছে, যেভাবে বাবরি ধ্বংসে অভিযুক্তরা প্রকাশ্যে বাবরি মসজিদ ধ্বংসলীলায় অংশ নেওয়ার কথা স্বীকার করার পরও মোদি জমানায় বিভিন্ন আদালতের দ্বারা ছাড় পেয়েছেন বা যেভাবে প্রজ্ঞা ঠাকুর, কর্নেল পুরোহিতদের মতো গেরুয়া উগ্রবাদীরা নিজেদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ স্বীকার করার পরও আদালতের রায়ে নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন তাতে মোদি যে এখন ওই মামলায় কোনো বিপদেই পড়বেন না এটা পরিষ্কার।

২০০২ সালে ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন গুজরাটে মুসলিম নিধন যোগ্য সংগঠিত হয় কট্টর হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীদের দ্বারা। দাঙ্গার বহু ভিডিও প্রমাণ থাকা সত্বেও কোনো এক অজানা কারণে সেই দাঙ্গায় রাজ্য সরকারের প্রত্যক্ষ মদদ প্রমান করা যায়নি আদালতে। সেই সময় গুজরাট দাঙ্গার ব্যাপারে সত্য উন্মোচন করার চেষ্টা করা বহু আমলা এবং পুলিশ অফিসারদের সরিয়ে দেওয়া হয় সরকারি চাকরি থেকে বা কেউ কেউ অজানা কারণে মৃত্যু বরণ ও করেন। অবশেষে সমস্ত তথ্য প্রমাণ গোপনে পর বিষয়টি ধীরে ধীরে সুপ্রিম কোর্টে পৌঁছায়। সুপ্রিম কোর্ট মামলায় তৎকালীন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী মোদীর ওই মুসলিম নিধন যজ্ঞে সরাসরি কোনো ভূমিকা নেই বলে রায় প্রদান করে। তবে ওই মুসলিম নিধন যজ্ঞে মোদির ভূমিকার অভিযোগ শুধু মুসলিম সংগঠন গুলো করেনি করেছিল অসংখ্য মানবাধিকার সংগঠন, বহু বুদ্ধিজীবী, রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবাধিকার কমিশন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি মার্কিন যুক্ত রাষ্ট্র ব্যক্তি মোদির ওপর ওই হত্যাযজ্ঞে তার ভূমিকার কারণে আজীবন মার্কিন মুলুকে ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সে সময়।

Latest articles

Related articles