ভোটের আগেই মুখ থুবড়ে পড়ছে বিজেপি! ঘোষিত ১২১ প্রার্থীর মধ্যে ৭৯ জনই তৃণমূলের

নিউজ ডেস্ক : নিজেদেরকে বিশ্বের সর্ব বৃহৎ রাজনৈতিক দল হিসেবে ঢাকঢোল পিটিয়ে বেড়ানো বিজেপি নেতারা আজ পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষে উপযুক্ত প্রার্থী সংকটে ভুগছে। আবার যাদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে তাদের অনেকেই বিজেপির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে সরাসরি অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। আবার যারা স্বীকৃতি জানিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে বিজেপিরই বহু নেতা-কর্মী সমর্থকরা পার্টি অফিস ভাঙচুর থেকে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ সবকিছুই করছেন। কিন্তু এরই মাঝে এক চমকপ্রদ বিষয় হলো বিজেপির প্রাথমিক পর্যায়ে ঘোষিত ১২১ জন প্রার্থীর মধ্যে ৭৯ জনই ছিল তৃণমূলের প্রাক্তনী। এটাই বিজেপির বর্তমানে মাথাব্যথার কারণ, অভ্যন্তরীণ গোলযোগ বা গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের মূল কারণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

বর্তমানে বেশিরভাগ বিধানসভা আসন গুলোতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে চলেছে বর্তমান তৃণমূল বনাম প্রাক্তন তৃণমূলের মাঝে। স্বাভাবিকভাবেই সাধারণ মানুষ সেই সমস্ত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে পছন্দ করেন না যারা ভোটের মুখে নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ রক্ষার্থে অন্য দলে গিয়ে টিকিট নিয়েছেন। আর সেই কারণেই বিজেপির প্রতি রাজ্যবাসীর আস্তা ধীরে ধীরে হ্রাস পাচ্ছে। বিজেপির রাজ্য নেতৃত্তের সভাগুলোতে লোকের তো দেখা আদৌ নেই। সে জন্যই তাদের পরিবর্তন যাত্রার মিছিল প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে, নেই গ্রাম gonje সেই প্রচারাভিযানের হিড়িক ও। নির্বাচনী প্রচারাভিযানে প্রধানমন্ত্রী মোদি, যোগী আদিত্যনাথ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ থেকে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং বিজেপির মুখ্যমন্ত্রীরা ঘন ঘনই পশ্চিমবঙ্গ সফরে আসছেন গত কয়েক মাস ধরে। কিন্তু এখন বিজেপির জনসভা গুলীতে আর আদৌ জনসমাগম দেখা যায় না। বেশ কয়েকবার অপমানজনক অবস্থায় পড়েছেন নাড্ডা, যোগী এমনকি অমিত শাহ এবং মোদী ও। সেজন্য বিজেপির কেন্দ্রীয় স্তরের নেতারা আর অতটা আগ্রহী নয় এখানে জনসভা করতে। এমনকি ব্রিগেডের জনসভাতেও প্রত্যাশিত জনসমাগমের তুলনায় অনেক কম উপস্থিতি দেখেছে রাজ্যবাসী। এখন বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব যাদের বিজেপি প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করেছে তারা বিজেপির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে অস্বীকার করছে। কারণ তারা বুঝেছে রাজ্যে বিজেপির নামে একটা কৃত্রিম হাওয়া সৃষ্টি করা হয়েছিল তা এখন অস্তিত্বহীন। জনমত সমীক্ষা গুলোতেও ঠিক তেমনি আভাস পাওয়া যাচ্ছে। দলবদল এর আসরে বেশ কিছু নামী তারকাকে নিজেদের দলে নিয়ে বিজেপি কিস্তিমাত করার চিন্তায় ছিল কিন্তু শেষ পর্যন্ত সাধারণ মানুষ সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প প্রত্যাখ্যান করে উন্নয়নের পথকেই নিজেদের ভবিষ্যৎ হিসাবে গ্রহণ করতে চলেছে বলে মনে করছেন অনেকে।

Latest articles

Related articles