নিউজ টুডে : পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণপর্ব শুরুর কয়েক দিন আগেই রাজনৈতিক সংঘর্ষে আবার উত্তপ্ত হলো দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারাইপুর। বাম দল এবং আই এস এফ এর কর্মীদের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের রাজনৈতিক সংঘর্ষে এখনো পর্যন্ত এক তৃণমূল কর্মী রুহুল আমিন মিদ্দের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। সংঘর্ষে আরো অনেকে আহত হয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারাইপুর থানা এলাকার বেলগাছি অঞ্চলের সংঘর্ষটি ঘটেছে দুই শিবিরের কর্মীদের মধ্যে। তৃণমুল কংগ্রেস ঘটনাটির জন্য বাম এবং আই এস এফ এর কর্মীদের দোষারোপ করেছে। অন্যদিকে সংযুক্ত মোর্চা তা অস্বীকার করে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে পাল্টা দোষারোপ করেছে। তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে বলা হয়েছে, বারুইপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি শ্যামসুন্দর চক্রবর্তী গত বুধবার একটি রাজনৈতিক সভা ডাকেন যেখান থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাকর্মীরা বাড়ি ফেরার পথে তাদের ওপর হামলা চালায় বাম এবং আই এস এফ এর কর্মীরা।
সংঘর্ষের ফলে গুরুতর জখম অবস্থায় ৫ জনকে স্থানীয় হাসপাতালে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বাকিদের চিকিৎসা চললেও, আশঙ্কাজনক অবস্থায় রহুল আমিন মিদ্দেকে বাইপাসের কাছে একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হলে সেখানেই চিকিৎসারত অবস্থায় তিনি মারা যান।
এই ঘটনার জন্য তৃণমূলের দিকেই পাল্টা অভিযোগের আঙ্গুল তুলেছে সিপিএম ও আইএসএফ কর্মী-সদস্যরা। বারুইপুরের সিপিএম প্রার্থী স্বপন নস্কর সাজাহান সর্দারের বাড়ি থেকে বৈঠক সেরে ফেরার পথে আচমকাই তাদের উপর তৃণমূল সদস্যরা হামলা করে। যাতে করে তাদের ৫ জনকে গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ঘটনায় আহতদের মধ্যে থেকে দুই দলের ৩ জন বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন এবং বাকিদের হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। সংযুক্ত মোর্চার ৬ জন কর্মীকে এই ঘটনার গ্রেফতার করা হয়েছে।