ভোটের আগে জারি হয়েছিল ১৪৪ ধারা। তবু অশান্তি আটকানো গেল না। জায়গায় জায়গায় বিক্ষিপ্ত অশান্তি। একের পর এক অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগও চলছেই। এক দল বলছে, আর এক দল ভোটারদের ভয় দেখাতেই এসব করছে।
নন্দীগ্রামের সোনাচূড়া এবং কালীচরণপুর গ্রামে সবথেকে বেশি বোমাবাজি হয়েছে বলে খবর। বুধবার রাত থেকেই এখানে বোমা পড়ছে। বৃহস্পতিবার সকালেও ওই এলাকায় বোমা পড়েছে। তৃণমূলের আঙুল বিজেপি-র দিকে। তাদের অভিযোগ, সাধারণ মানুষ যাতে ভোট না দেয়, ভয় পেয়ে বাড়ি বসে থাকে, তাই এসব করছে বিজেপি।
এলাকায় স্থানীয়রা এসবে আতঙ্কিত। তাঁরা প্রশ্ন তুলছেন, ১৪৪ ধারা জারি, এত বাহিনী মোতায়েনের পরেও কী করে এসব হচ্ছে। বোমা যেখানে পড়েছে, সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কিন্তু মানুষের আতঙ্ক কমেনি।
বিজেপি যদিও অভিযোগ মানছে না। তাদের অভিযোগ, হারবে বুঝে এসব করছে তৃণমূল। সেজন্যই বুধবার রাতে নন্দীগ্রামের আমদাবাদ গ্রামে সৌরভ আচার্য নামে এক বিজেপি কর্মীর বাড়িতে বোমাবাজি হয়েছে। সৌরভের দাবি, গভীর রাতে তাঁর বাড়িতে একের পর এক বোমা ছোড়া হয়। বোমার আঘাতে বাড়ির একাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এখানেই শেষ নয়। অভিযোগ, বোমাবাজির পর বাড়িতে ঢুকে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ভাঙচুর চালিয়েছে। দুষ্কৃতীদের আটকাতে গেলে তাঁকে ও পরিবারের বাকিদের মারধর করা হয়।
Related articles