গেরুয়া সন্ত্রাসের ভয় করছেন তৃণমূল এজেন্টের মা, বললেন, আধাসেনা চলে গেলে কি হবে আমাদের?

নিউজ ডেস্ক : গেরুয়া শক্তি দ্বারা শাসিত সব রাজ্যে বিজেপি বিরোধী সব রাজনৈতিক আওয়াজকে স্তব্ধ করে দেয় তারা। কায়েম করে এক ত্রাসের রাজত্ব। এমন সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করতে এখন বদ্ধ পরিকর এ রাজ্যের গেরুয়া শিবির। এই জন্যেই দুই বেলা দিলীপ ঘোষের মুখে গুন্ডামী করার হুমকি শোনা যায়। নব্য হিন্দুত্ববাদী নেতা শুভেন্দু মুসলিম বিদ্বেষ বা অশালীনতা প্রদর্শনে দিলীপ ঘোষের প্রতিযোগী হয়ে উঠেছেন। তার পরিচালিত গেরুয়া বাহিনীর বাধায় নন্দীগ্রামের বহু বুথেই এজেন্ট দিতে পারেনি তৃণমূল কংগ্রেস। যেখানে যেখানে যেখানে এজেন্ট দিয়েছে সেখানে শুভেন্দু অধিকারীর বাহিনীর ভোট পরবর্তী পরিস্থিতিতে যে সন্ত্রাসের সৃষ্টি করতে চলেছে তা নিয়ে তৃণমূল এজেন্ট এবং তাদের পরিবারের মধ্যে তৈরি হচ্ছে আশঙ্কার। অবশেষে এই মুসলিম বিদ্বেষী এই কট্টর হিন্দুত্ববাদী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আন্টি বলেও সম্মধন করেন।

 

নন্দীগ্রামে ভয়ে বুথে বসতে পারছেন না তৃণমূলের এজেন্ট। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে রিপোর্ট চাইল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। এর পাশাপাশি নন্দীগ্রামের (Nandigram) বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের এজেন্টদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

নন্দীগ্রামের (Nandigram) বয়ালে মোকতাব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোটারদের ভোটদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এজেন্টের নাম মৃণালকান্তি জানা। মৃণালকান্তিকে হুমকি দেওয়ার পর তিনি বাড়ি চলে যান বলে অভিযোগ। তাঁকে পুলিস আনতে গেলে মৃণাকান্তির মা বলেন, ‘তোমরা চলে গেলে কী হবে?’। পরে  আর বুথমুখো হননি মৃণালকান্তি জানা। এই ঘটনায় রিপোর্ট চাইল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)।

বয়ালের ৬ ও ৭ নম্বর বুথে ভোটদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। নন্দীগ্রামে ১৪ নম্বর বুথে তৃণমূল এজেন্টকে বাধাদান ও ৭৪ এবং ৭৫ নম্বর বুথে জমায়েত ও ২৪৮ নম্বর বুথে ভোটারদের বাধাদান অভিযোগ করেছে তৃণমূল। নন্দীগ্রামের শ্রীপাড়ায় আধা সেনার বিরুদ্ধে ভোটারদের প্রভাবিত করার উঠেছে।

Latest articles

Related articles