নিউজ ডেস্ক : ইজরায়েল পৃথিবীর সেই সমস্ত দেশ গুলির মধ্যে অন্যতম যারা করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সর্বপ্রথম এবং সব থেকে দ্রুত গতিতে নিজেদের নাগরিকদের করণা ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু করেছিল। কিন্তু তারা নিজেদের নাগরিকদের করোনা ভ্যাকসিন দিলেও অবৈধ রাষ্ট্রটি তাদের অবৈধ কব্জায় থাকা ফিলিস্তিনি নাগরিকদের করোনা ভ্যাকসিন থেকে বঞ্চিত করেছে। এই অমানবিক বিষয়টিতে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে ইজরায়েলের নতুন হিতৈষী আরব দেশগুলো। ইজরায়েলের অর্থনীতি চাঙ্গা করার জন্য কোটি কোটি ডলার অনুদান দিলেও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মুসলমান শাসকদের কাছে অসহায় ফিলিস্তিনিদের আর্তনাদ কোনো মানবিক আবেদন রাখেনি। কিন্তু এবার ফিলিস্তিনিদের জন্য নিজেদের তৈরি এক লাখ টিকা পাঠিয়েছে চীন। চীনের সিনোফার্মের তৈরি এ টিকার চালান এরই মধ্যে ফিলিস্তিনে গিয়ে পৌঁছেছে বলে জানা গেছে। এসব টিকা ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্যকর্মী, বৃদ্ধ ও করোনায় আক্রান্ত হয়ে গুরুতর অসুস্থ ব্যক্তিদের দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
চীনা টিকার এ চালান গত মঙ্গলবার ফিলিস্তিনে পৌঁছেছে বলে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মিয়া আল কাইলা চীনে এ টিকা পাওয়ার কথা গণমধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ইসরাইল অধিকৃত পশ্চিমতীরের রামাল্লাহ শহরের কারফিউ ও কঠোর লকডাউন সত্বেও ভয়াবহভাবে বিস্তার ঘটেছে করোনা ভাইরাসের। এখানকার হাসপাতালগুলোতে তিল ঠাঁই নেই রোগীদের জন্য। ইসরাইল নিজেদের নাগরিকদের প্রায় সবাইকেই টিকার আওতায় আনলেও ফিলিস্তিনিদের দখলকৃত এলাকায় টিকা দিতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে। অধিকৃত পশ্চিমতীর ও গাজা উপত্যকায় ৫২ লাখ ফিলিস্তিনির বসবাস। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আহবান উপেক্ষা করে ইসরাইল এদের টিকার আওতায় আনছে না। অবশেষে চীন এদের জন্য সাহায্যের হাত বাড়ল।