Monday, June 9, 2025
35 C
Kolkata

লকডাউন করলেই সব কমে যাবে? মানুষকে একটু সময় দিতে হবে না? – প্রশ্ন মমতার

রাজ্যে প্রতিদিনই লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন রাজ্য সরকার স্থানীয় স্তরে লকডাউন ঘোষণা করেছে। কোথাও জারি করা হয়েছে কার্ফু। কোথাও রাত্রিকালীন কার্ফু জারি করা হয়েছে। বাংলায় সংক্রমণ সাড়ে ৮ হাজারের কাছাকাছি পৌঁছে গেলেও এখনও তেমন বড় কোনও বিধিনিষেধ আরোপ করেনি সরকার। সোমবারই ঘোষণা করা হয়েছে, মঙ্গলবার থেকে বন্ধ থাকবে স্কুল। গরমের ছুটি এগিয়ে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরপরেই রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ঘোষণা করা হয়, মালদহ থেকে সাংবাদিক বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী। একজনরে দেখে নিন, সাংবাদিক বৈঠকে কী বলছেন মুখ্যমন্ত্রী।

৩.০৮ সবাইকে সচেতন করব, কিন্তু ভয় দেখাবো না। এই সাংবাদিক বৈঠক থেকে কোনও রাজনৈতিক কথা নয়। এখনই লকডাউনের কোনও চিন্তা নেই। লকডাউন করলেই সব কমে যাবে? মানুষকে একটু সময় দিতে হবে না? বাইরে থেকে হাজার হাজার লোক আসছে, করোনা সেখানেও ছড়াচ্ছে। লকডাউন করলে তো মানুষের কষ্ট হবে।

৩.০৫ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক নিয়ে চিন্তা ভাবনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। নির্বাচন ঘোষণার সময় ভাল করে ভাবা উচিত ছিল, কেন্দ্রীয় সরকারেরও ভাবা উচিত ছিল। কেন্দ্রীয় সরকার এতদিন কিছু করেনি। বিভিন্ন সরকারি হোটেলে ‘সেফ হোম’ তৈরি করা হবে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর মধ্যে যাঁরা এসেছেন, তাঁদের আরটি-পিসিআর করোনা পরীক্ষা করার কথা বলেছি। আমরা চেষ্টা করব, ঝড় মোকাবিলা করার। ভয় পাবেন না, আতঙ্কিত হবেন না।

৩.০০ সভা বাতিল করলেও আমি মানুষের পাশে আছি। অনেকের টিকা নেওযার পরেও করোনা হচ্ছে। অনেকগুলো জায়গা নির্বাচন কমিশন নিয়ে নিয়েছে, তাই জায়গার অভাব রয়েছে। আমি অনুরোধ করেছিলাম, শেষ দফার নির্বাচন একসঙ্গে করতে, কিন্তু করা হয়নি। তাই অসুবিধা হয়েছে। বিহারে তিনটি দফা হয়েছে, বাংলায় কেন ৮টি দফা? আর করোনার পরিস্থিতি এখন বাড়াবাড়ি হয়েছে, এখন তো ভাবা উচিত।

২.৫৮ যুদ্ধকালীন তত্‍পরতায় কাজ করতে নির্দেশ দিয়েছি। ছোট ছোট সভা করা হবে নির্বাচনের প্রচারে। কলকাতায় ২৬ তারিখ একটিই বড় সভা। কার্ফু কোনও সমাধান নয়। রাত্রিকালীন কার্ফু করে কিছু হবে না। ভয় পাওয়ার বা আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। তবে মৃত্যু কম হচ্ছে। টিকা কম আছে, কেন্দ্রীয় সরকার অনুমতি না দিলে রাজ্য সরকার টিকা কিনতে পারে না। সেই অনুমতি দিতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারকে। রাজ্যে টিকা, অক্সিজেনের বিপুল প্রয়োজন।

২.৫৫ ওয়ার্ক ফ্রম হোমে জোর দেওয়া হচ্ছে। অফিসগুলিতে ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ চালাতে হবে। আতঙ্কে নয়, সচেতন থাকতে হবে। রাজ্যজুড়ে ৪০০ অ্যাম্বুল্যান্স কাজ করবে। যাঁদের প্রয়োজন, তাঁরাই হাসপাতালে ভর্তি হন। যাঁদের প্রয়োজন নেই, তাঁরা ভর্তি হবেন না।

২.৫০ অকারণ ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আমরা পরিস্থিতি সামলাচ্ছি। বাইরে থেকে অনেক লোক আসছে, সেই কারণে করোনা সংক্রমন ছড়াচ্ছে। বাজারে অনেক ওষুধ, ইত্যাদি পাওয়া যাচ্ছে না। টিকাও পাওয়া যাচ্ছে না। সাড়ে চার হাজার বেড বাড়বে রাজ্যে। ১০০টি হাসপাতাল করোনার জন্য তৈরি রয়েছে, বেসরকারি ৫৮টি হাসপাতাল নেওয়া রয়েছে। তৈরি রয়েছে ২০০ সেফ হোম, সেখানে ১১ হাজার শয্যা রয়েছে। রাজ্য সরকার সবরকম পদক্ষেপ করছে।

Hot this week

গাজার রাফাহ সহায়তা কেন্দ্রেই মৃত্যু: ইসরায়েলি হামলায় নিহত ২৭ জন ফিলিস্তিনি

ফের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় রাফাহ শহরের একটি...

মাদ্রাসা রক্ষায় আজমগড়ে সম্মেলন, আদালতের পথে জামিয়ত উলামা-ই-হিন্দ

উত্তরপ্রদেশের আজমগড়ে আয়োজিত হয় একটি মাদ্রাসা রক্ষা সম্মেলন...

ঈদের আগে উত্তেজনা: গাজিয়াবাদে মুসলিম মাংস বিক্রেতাকে গুলি করার হুমকি বিজেপি বিধায়ক নন্দ কিশোর গুর্জর

উত্তরপ্রদেশর গাজিয়াবাদে বিজেপি বিধায়ক নন্দ কিশোর গুর্জর সম্প্রতি একটি...

টাকার পরিমান দেখে চোখ ধাঁধিয়ে গেল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার, গ্রেপ্তার ইন্ডিয়ান রেভিনিউ সার্ভিস অফিসার

চোখ ধাঁধানো গুপ্তধনের সন্ধান। ইন্ডিয়ান রেভিনিউ সার্ভিস অফিসার অমিত...

Topics

গাজার রাফাহ সহায়তা কেন্দ্রেই মৃত্যু: ইসরায়েলি হামলায় নিহত ২৭ জন ফিলিস্তিনি

ফের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় রাফাহ শহরের একটি...

মাদ্রাসা রক্ষায় আজমগড়ে সম্মেলন, আদালতের পথে জামিয়ত উলামা-ই-হিন্দ

উত্তরপ্রদেশের আজমগড়ে আয়োজিত হয় একটি মাদ্রাসা রক্ষা সম্মেলন...

গাজায় ফের ইসরায়েলি হামলা!ধ্বংস করা হল ২৪০টির বেশি ঘর, নিহত হাজার হাজার নিরীহ মানুষ

গত অক্টোবর থেকে ইসরায়েল গাজায় ভয়াবহ হামলা চালিয়ে আসছে।...

Related Articles

Popular Categories