কয়েক মাসে করোনা নিয়ন্ত্রণে আনার ফর্মুলা দিলেন ‘হু’ প্রধান

নিউজ ডেস্ক : করোনার দ্বিতীয় ঢেউ (Corona Pandemic) আছড়ে পড়েছে বিশ্বের বহু দেশে। সব থেকে খারাপ অবস্থা ভারতে। এখানে প্রতিদিন প্রায় ৩ লাখ নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছেন করোনায়। প্রতিদিনই ভাঙছে আক্রান্তের রেকর্ড। এই পরিস্থিতিতে ক্রমেই বাড়ছে আতঙ্ক। ইতিমধ্যেই লকডাউনের রাস্তায় হেঁটেছে দিল্লি, রাজস্থানের মতো রাজ্য। একই পরিস্থিতি অন্যান্য বহু দেশে। বাড়তে থাকা উদ্বেগের মধ্যেই এবার আশার কথা শোনালেন ‘হু’ (WHO) প্রধান টেড্রোস আধানম ঘেব্রিয়েসুস (Tedros Adhanom Ghebreyesus)। তাঁর দাবি, মারণ ভাইরাসের এই অতিমারীকে দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। ঠিকমতো ব্যবস্থা নিতে পারলে মাস খানেকের মধ্যেই এটা করা যাবে বলেই আশাবাদী তিনি।

 

সোমবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে এবিষয়ে মুখ খোলেন ঘেব্রিয়েসুস। তবে ‘হু’ প্রধানের গলায় এদিন কার্যতই ছিল উদ্বেগের সুর। যেভাবে সারা বিশ্বেই ২৫ থেকে ৩৯ বছর বয়সিদের মধ্যে দ্রুত সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করেছে তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন ঘেব্রিয়েসুস। তিনি জানান, যেখানে অতিমারী শুরু হওয়ার পরে প্রথম ৯ মাসে ১০ লক্ষ মানুষ মারা গিয়েছিলেন, সেখানে পরবর্তী ৪ মাসেই তা পৌঁছে যায় ১০ লক্ষ। এদিকে পরবর্তী ৩ মাসেই তা পেরিয়ে গিয়েছে ৩০ লক্ষের গণ্ডি। করোনার মৃত্যু ছোবলের এই দ্রুত বাড়তে থাকা ভয়াবহতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। তবে সেই সঙ্গে আশার বাণীও শোনা গিয়েছে তাঁর মুখে। ‘হু’ প্রধানের কথায়, ‘‘এই অতিমারীকে মাস খানেকের মধ্যে নিয়ন্ত্রণে আনার উপায় রয়েছে আমাদের কাছে। তবে সেটা ধারাবাহিক ভাবে ও সমান ভাবে প্রয়োগ করতে হবে।’’

 

ভার্চুয়াল এই সম্মেলনে আরও যোগদান করেন তরুণ পরিবেশবিদ গ্রেটা থুনবার্গ। এখানে ধনী এবং দরিদ্র দেশগুলোতে করোনা ভ্যাকসিনের সঠিক এবং সুষম বন্টনের উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়। বর্তমানে যখন ইজরায়েলের মতো দেশে সব নাগরিক করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন এবং সে দেশে মাস্ক বিহীন পরিবেশ তৈরি হয়েছে তখনই ভারতবর্ষে প্রতিদিন করণা সংক্রমণ নয়া রেকর্ড তৈরি করছে। এছাড়াও মাস্ক পরিধান করা স্যানিটাইজার এর ব্যবহার এবং সামাজিক দূরত্ব বিধি সঠিকভাবে মেনে চলার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়।

Latest articles

Related articles