নিউজ ডেস্ক : সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে বিজয়ী ঘোষিত হওয়ার পরও নাটকীয় ভাবে নির্বাচন কমিশন শুভেন্দু অধিকারীকে জয়ী বলে ছাড়পত্র দেয়। তাই বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিজের পদে বহাল থাকতে হলে আসন্ন ৬ মাসের মধ্যে কে কোনো একটি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে উপনির্বাচনে জয় লাভ করে আসতে হবে। কিন্তু এ ছাড়াও সাংবিধানিক পন্থায় একটা শর্ট কাট রাস্তা আছে। আর তা হল রাজ্যে একটি বিধান পরিষদের সদস্য হওয়া। বিধান পরিষদের সদস্য হওয়া শাসক দলের প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য খুব সহজ। কিন্তু বিহার, উত্তর প্রদেশ, তেলেঙ্গানার মতো বিভিন্ন রাজ্যে বিধান পরিষদ থাকলেও এ রাজ্যে তা নেই। তাই এটা গঠন করতে হবে সাংবিধানিক প্রক্রিয়া মেনে।
রাজ্যের ক্ষেত্রে বিধান পরিষদ অনেকটা সংসদের উচ্চ কক্ষ রাজ্যসভার মতো কাজ করে। সে ক্ষেত্রে বিধান পরিষদের সদস্যরা মন্ত্রিসভার সদস্য হতে পারবেন। অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি বিধান পরিষদের সদস্য হন তবে তাঁকে আর বিধানসভা ভোটে জিতে আসতে হবে না। রাজ্য মন্ত্রিসভায় আজ যে প্রস্তাব গ্রহণ হয়েছে, তা এর পর যাবে রাজ্যপালের কাছে। রাজ্যপালের অনুমোদন পেলে সেই প্রস্তাব এর পর যাবে বিধানসভায়। সেখানে আলোচনার পর পাশ হলে তা আইনে পরিণত হবে। এবং আইনসভায় আলোচনার মাধ্যমে বিধান পরিষদের নিয়ম নীতি নির্ধারণ করবেন বিধায়করা। তবে বর্তমানে সিবিআই কর্তৃক রাজ্যের হাই প্রোফাইল তৃণমূল নেতাদের গ্রেফতারি রাজ্য রাজনীতিতে কে টানাপড়েন তৈরি করেছে তার ফলে এই প্রক্রিয়া কিভাবে এগিয়ে যায় সেটাই এখন দেখার।