নিউজ ডেস্ক : আজকের মতো শুনানিপর্ব শেষ। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে নারদ মামলার শুনানি শেষ। তবে আজ এই মামলায় জামিনের ব্যাপারে কোনও রায় দিল না আদালত। আগামিকাল পর্যন্ত আপাতত জেল হেফাজত ওই চার অসুস্থ হেভিওয়েটের। আগামিকাল দুপুর দু’টোয় মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
সওয়াল জবাব পর্বে বিচারপতি অভিযুক্তের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি-কে প্রশ্নবাণে বিঁধেছেন বলে সূত্রে খবর। নিজাম প্লেসে কেন গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী? কেন আইনমন্ত্রী কোর্টে গিয়েছিলেন? বিপুল জনসমাগম নিজাম প্লেসে কেন ছিল বা যে সকল নেতারা সেখানে গিয়েছিলেন তাদের ভূমিকা কী ছিল বলে প্রশ্ন করেছেন বিচারপতি।
তবে তৃণমূলের আইনজীবী বলেন, খুব দরকার না হলে কি জেল হেফাজতে রাখার দরকার রয়েছে তাদের? তাদের বেশিরভাগেরই বয়স ষাটোর্ধ্ব। প্রত্যেকেই অসুস্থ। যদিও নিজাম প্লেসে কেন ৬ ঘণ্টা মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তার পরিপ্রেক্ষিতে আইনজীবী বলেন, যারা গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তাদের বেশিরভাগই তাঁর সহকর্মী। অন্যদিকে, মলয় ঘটক আইনমন্ত্রী হলেও তাঁর সহকর্মীদের জন্যেই সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে গিয়েছিলেন। মনু সিংভি বলেন, নারদ মামলায় অভিযুক্তদের নানা কৌশলে জেলে ঢুকতে চাইছে বলেও অভিযোগ করেন।
পাশাপাশি সিবিআই-এর তরফে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি, মলয় ঘটক এবং কল্যাণ ব্যানার্জিকে পার্টি করা হয়। তাঁদের ওইদিনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ-প্রতিবাদও করা হয়েছিল। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই নারদ মামলার স্থানান্তরের জন্য আবেদন করেন এবং সেই মামলার শুনানি ছিল আজ। তবে আজ কোনও রায় দিল না আদালত। আগামিকাল পর্যন্ত আপাতত জেল হেফাজতই বহাল থাকছে ওই চার হেভিওয়েটের। বৃহস্পতিবার দুপুর ২ টোয় এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
এদিকে সিবিআই কে বিজেপি রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করছে তা প্রমাণিত হয়েছে বলে অভিযোগ করছেন বিরোধী নেতারা। বাম এবং কংগ্রেস নেতারা ও এ ব্যাপারে তৃণমূল কংগ্রেসের পাশে দাঁড়িয়ে সিবিআই এর পক্ষপাতিত্বের কঠোর সমালোচনা করেছে। সিবিআই তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের গ্রেফতার করলেও বিজেপির আশ্রয়ে থাকা একই মামলায় অভিযুক্ত শুভেন্দু অধিকারী, শিশির অধিকারী এবং মুকুল রায়কে গ্রেফতার করেনি কোনো অজানা কারণে। সেই কারণে হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে।