নিউজ ডেস্ক : ভোট পরবর্তী হিংসায় মদত দেওয়ার অভিযোগে উত্তর কলকাতা যুব তৃণমূলের সদস্যরা কয়েক মাস আগেই গেরুয়া গোখরো মিঠুন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছিল। তবে ভোটের আগে বিষাক্ত ছোবলের হুমকি দেওয়া এই বিজেপি নেতা ভোটে লজ্জাজনক হারের পর একেবারে নির্বিষ অবস্হায় ছিলেন। কিন্তু নিজের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার পরে এফআইআরের পাল্টা এবার হাইকোর্টের দারস্থ হলেন মিঠুন চক্রবর্তী। অভিনেতা তথা বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী হাইকোর্টে পাল্টা মামলা করলেন।
মিঠুন চক্রবর্তীর দাবি, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই আমার বিরুদ্ধে এই ধরণের মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগের কোনও সত্যতা নেই। উত্তর কলকাতা যুব তৃণমূলের সদস্যরা মিথ্যা অভিযোগ করেছে।
প্রসঙ্গত, ভোটের আগে সারা রাজ্য চষে বেড়িয়েছেন নিজের ছেলেকে বাঁচাতে বিজেপিতে যোগ দান করার অভিযোগে বিদ্ধ মিঠুন। কিন্তু ভোটের ফলাফলে দেখা যায় তথাকথিত মিঠুন ম্যাজিক কাজ করেনি ভোটবাক্সে। আর ভোটের ফলাফল প্রকাশ হতেই রাজ্যজুড়ে শুরু হয়ে যায় রাজনৈতিক হিংসা। আর এই হিংসা ছড়ানোর জন্য নাকি মিঠুন চক্রবর্তী দায়ী। এই মর্মে মানিকতলা থানায় মিঠুন চক্রবর্তীর নামে এফআইআর দায়ের করে উত্তর কলকাতা যুব তৃণমূলের সদস্যরা।
তৃণমূল যুব নেতাদের বক্তব্য ছিল, ভোট প্রচারে গিয়ে বারবার মিঠুন চক্রবর্তী বলেছিলেন ‘মারব এখানে লাশ পড়বে শ্মশানে’, ‘আমি জাত গোখরো, এক ছোবলেই ছবি’। এই সমস্ত মন্তব্য করার ফলেই বিজেপি কর্মীরা মারমুখী হয়ে তেড়ে যান তৃণমূলের দিকে। যা থেকে বাংলায় তৈরি হচ্ছে অশান্তি। এই সমস্ত উস্কানি থেকেই হিংসা ছড়িয়ে পড়ছে। তাই মিঠুন চক্রবর্তী এবং দিলীপ ঘোষের নামে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। উল্লেখ্য, শুধু মিঠুন নয় তৃণমূল এবং মুসলিমদের বিরুদ্ধে অকথ্য এবং আক্রমণাত্বক ভাষায় হুমকি দিয়েছিলেন বিজেপির বহু নেতারা। তাদের কাউকেই এখন তেমন একটা দেখা যায়না রাজনৈতিক ময়দানে।