নিউজ ডেস্ক : আজ তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন মুকুল রায়। ইতিমধ্যেই তিনি পৌঁছে গেছেন তৃণমূল ভবনে। তৃণমূল কংগ্রেস দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া নেতাদের জন্য আজ যে দরজা খুলে দিল এর পর আরো বহু প্রাক্তন তৃণমূল এবং বিজেপি নেতাদের জন্য দরজা খুলতে চলেছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এই ক্ষেত্রে উঠে আসছে প্রাক্তন সেচ মন্ত্রী রাজিব বন্দোপাধ্যায় এর নাম। নিচু তলার তৃণমূল কর্মীদের ক্ষোভ থাকলেও রাজীবকে ক্ষমা করতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস, মনে করেন অরূপ রায়। কিন্তু অরূপ রায় কোনওদিনই রাজীবকে ক্ষমা করতে পারবেন না বলে জানান। বৃহস্পতিবার রাজীব সম্পর্কে রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের মন্তব্য এবং আগামী দিনে তৃণমূল কংগ্রেসে রাজীবের ফিরে আসার সম্ভাবনার প্রসঙ্গে একথা জানিয়েছেন রাজ্যের সমবায়মন্ত্রী এবং হাওড়া জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান অরূপ রায়।
এদিন রাজীব প্রশ্নে ফিরহাদের গলায় ছিল অনেকটাই নরম সুর। তিনি বলেন, রাজীব তাঁর ছোট ভাইয়ের মতো। কেন ওঁর এটা হল, কেন বিজেপিতে গেলেন সেটা তাঁর কাছে বিস্ময়। ফিরহাদ জানিয়েছেন, রাজীব যাওয়ার আগে শেষ মন্ত্রীসভার বৈঠকের দিন তিনি তাঁকে ফোন করেছিলেন। এরপরেই পরিবহনমন্ত্রী বলেন, দেরিতে হলেও যদি বোধোদয় হয় তাহলে সেটা ভাল লক্ষণ। দল দলের সিদ্ধান্ত নেবে। এখনও রাজীবের আবেদন আসেনি। যাদের এসেছে তাঁদের বিষয়টিও দল ঠিক করবে। রাজীবের এই ‘বোধোদয়’-কে স্বাগত জানিয়েই পরিবহনমন্ত্রী বলেন, কিন্তু দেরিতে হলেও বোধোদয় তো হয়। অনেকে এত নির্বোধ থাকে যে বোধোদয়ও হয়না।
স্বাভাবিকভাবেই মমতা ব্যানার্জির মন্ত্রীসভার এই গুরুত্বপূর্ণ সদস্যের রাজীবের প্রতি এহেন মনোভাব প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যের প্রাক্তন সেচমন্ত্রী এবং অধুনা বিজেপি নেতা রাজীব ব্যানার্জীর প্রশ্নে নরম হচ্ছে কি না?
সেই বিষয়েই অরূপ রায়ের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দল রাজীবকে ক্ষমা করলেও আমি কোনোদিনই তাঁকে ক্ষমা করতে পারব না। কারণ, যুদ্ধক্ষেত্রে যে সৈনিক বা সেনাপতি শত্রু শিবিরের সঙ্গে হাত মেলায় তাঁকে অন্তত আমার পক্ষে ক্ষমা করা সম্ভব নয়। তবে তৃণমূল কংগ্রেস যেহেতু আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে সর্বভারতীয় স্তরে বিজেপিকে টক্কর দেওয়ার পরিকল্পনা করছে তাই ঘরে সংগঠন একেবারে মজবুত করতে পুরনো নেতাদের আবার সুযোগ দিতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।