যে কোনো মূল্যে আফগানিস্থানে প্রকৃত ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে, সুনিশ্চিত হবে নারীদের অধিকার : তালিবান

নিউজ ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহার শুরুর পর থেকে যুদ্ধবিদ্ধস্ত আফগানিস্থানে আশরাফ ঘানি এবং তালিবানের মধ্যে পারস্পরিক আলোচনা বন্ধ রয়েছে। ফলে সহিংসতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর এরই মাঝে আফগানিস্থানের বহু এলাকা আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে তালিবান। ফলে উদ্বিগ্ন পশ্চিমা বিশ্ব। অন্যদিকে আত্মবিশ্বাসী তালিবান হুমকি দিয়েছে তাদের লক্ষ্য আফগানিস্থানে যে কোনো মূল্যে প্রকৃত ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠিত করা। সেখানে নারীদের সব অধিকার সুনিশ্চিত করা হবে। এই ব্যাপারে কারো কোনো হস্তক্ষেপ বরদাস্ত করা হবে না বলে কয়েক মশ আগে হওয়া মস্কো বৈঠকে ও জানিয়ে দিয়েছিল তালিবান নেতৃত্ব।

 

সহিংসতা বৃদ্ধির পরেও তালেবান শান্তি আলোচনায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিল জানিয়ে দলটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও উপ-নেতা মোল্লা আবদুল গণি বারদার রোববার দেয়া বিবৃতিতে বলেন, ‘আলোচনায় আমাদের নিয়মিত অংশগ্রহণ পরিস্কার ইঙ্গিত দেয় যে আমরা পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানে বিশ্বাসী।’ তিনি বলেন, ‘আফগানিস্তানে সংঘাত নিরসনের একমাত্র উপায় হ’ল সমস্ত বিদেশী বাহিনী চলে যাওয়ার পরে একটি ইসলামী শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। কারণ, আফগানদের সকল সমস্যা সমাধানের জন্য একটি আসল ইসলামী শাসন ব্যবস্থাই সর্বোত্তম মাধ্যম।’ তালেবানের এ মুখপাত্র বলেন, আমরা এটি অনুধাবন করছি যে, বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের পর প্রতিষ্ঠিত হতে যাওয়া সিস্টেমটির ধরন সম্পর্কে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং আফগানদেরও প্রশ্ন রয়েছে। তালেবান ক্ষমতায় আসলে গৌরবময় ধর্ম ইসলামের ভিত্তিতে নারীসহ সকল আফগানের অধিকার নিশ্চিত করা হবে বলে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, তালিবান নেতারা ইতিমধ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে তাদের ইসলামী শাসনে সমাজের সব শ্রেণীর মানুষের সঙ্গে নারীদের অধিকার সুনিশ্চিত করা হবে। নারীরা বিদ্যালয়, কলেজ সহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশুনা এবং শিক্ষকতা করতে পারবেন হিজাবের সঙ্গে। নারীদের কর্মক্ষেত্রে ও থাকবে সমান অধিকার থাকবে। তারা পারবে জাতীয় রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করতে। আদালতের বিচারক ও হতে পারবে তারা। তবে রাষ্ট্রপ্রধান বা আদালতের প্রধান বিচারপতি হতে পারবেন না। তালিবানদের এই সব প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরও চিন্তায় পশ্চিমা বিশ্ব এবং তাদের সমর্থিত আশরাফ ঘানি সরকার।

Latest articles

Related articles