বাস ভাড়া বাড়ানোর দাবি বাস মালিকদের, বিপদে পড়তে পারেন যাত্রীরা

নিউজ ডেস্ক : আগামী ১ জুলাই থেকে সরকারি ও বেসরকারি বাস ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে পারবে। সোমবারই ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। কিন্তু বেসরকারি বাস মালিকরা বলছেন, কোভিড স্পেশ্যাল ফেয়ার চালু না করলে গাড়ি চালানো যাবে না। আর এক্ষেত্রে ন্যূনতম ভাড়া হবে ১০ টাকা। সর্বোচ্চ কুড়ি টাকা। যেমনটা নেওয়া শুরু হয়েছিল গতবার লকডাউন শেষে বাস পরিষেবা চালুর সময়। অভিযোগ, সরকার ভাড়া না বাড়ালেও কন্ডাক্টররা নিজেদের মতো যেমন খুশি ভাড়া নিচ্ছিলেন। ন্যূনতম ভাড়া ছিল ১০ টাকা।

 

 

ডিজেলের দাম এখন ৯০ টাকা। বাস অনেকদিন না চালানোর কারণে ইঞ্জিনের অনেক সমস্যা দেখা দিয়েছে। তাই সারাতে অনেক খরচ। তার ওপর মাত্র ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চালাতে হবে বাস। তাহলে বাস মালিকদের কোনো লাভ হবে না। এই অভিযোগ করে ভাড়া বাড়ানোর দাবি করেছেন বাস মালিকরা।

 

 

১ জুলাই থেকে বেসরকারি বাসের পাশাপাশি রাস্তায় নামবে সরকারি বাসও। কোন রুটে কত বাস নামবে এবং জেলার মানুষকে শহরে কর্মস্থলে আনতে শহরতলি এবং জেলা থেকে নতুন রুট চালু হবে কিনা তা আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার ঠিক হতে পারে। সরকারি বাসে অবশ্য পুরনো ভাড়াই নেওয়া হবে। রাস্তায় নামবে অটো এবং টোটোও। তাঁদের দাবি, সংগঠনের তরফে কোনও বাস মালিককে বাস নামানোর কথা বলা হবে না। তবে কেউ স্বেচ্ছায় যদি বাস চালাতে চান তাঁকে আটকানো হবে না। তবে এতদিন বাস বসে থাকার ফলে ইঞ্জিন সহ নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে। একাধিক যন্ত্রাংশ বিকল। যা সারিয়ে বাস নামাতে খরচও প্রচুর। বাস মালিকরা আশা করছেন পরিষেবা শুরু করার আগে সরকার অন্তত তাঁদের বিষয়ে কিছু একটা ভাববে। যদিও পরিবহণ দপ্তর সূত্রে খবর, এখনও ভাড়া বাড়ানোর বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।

 

 

অন্যদিকে লক্ষণীয় বিষয় হল যে, ৫০ শতাংশের এই নিয়ম শহরের বা শহরতলীর বাস মালিকরা একটু মেনে চললেও জেলার বাস মালিকরা তা তেমন মানবে না। ফলে তারা ভাড়া বা বাড়ানো হলে বেশি যাত্রী নেবে আবার সঙ্গে অতিরিক্ত ভাড়া। বিপদে পড়বেন বহু যাত্রী। এই পরিস্থিতি এড়াতে পরিবহন দপ্তর এখন কি করে সেটাই এখন দেখার।

Latest articles

Related articles