নিউজ ডেস্ক : বিদেশী সৈন্যরা আফগানিস্তান ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আফগানিস্থানের অধিকাংশ এলাকার ওপর নিজেদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেছে তালিবান। আফগানিস্থানের ৪২১ টি জেলার মধ্যে শতাধিক জেলার নিয়ন্ত্রন আফগান সেনার হাত থেকে তালিবান ছিনিয়ে নিয়েছে শুধু গত মাসে। তালিবানের দাবি অনুসারে, দেশটির প্রায় ৭৫% এর বেশি এলাকায় তাদের নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্ঠিত রয়েছে। এবার নিজেদের দখলে থাকা এলাকায় শরীয়াহ আইন চালু করা শুরু করল তালিবান। তার মধ্যে উত্তর-পূর্ব আফগানিস্তানের তাকহার প্রদেশ অন্যতম। সেখানকার বিশাল এলাকায় শরীয়াহ আইন চালু করেছে তালেবান। ওই অঞ্চলে আফগান পুরুষদের দাড়ি রাখতে হবে। নারীদের পুরুষ অভিভাবক ছাড়া বাড়ির বাইরে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বিয়ের দেনমোহর বাধ্যতামূলক এবং ও যৌতুক নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম আরিয়ানা নিউজ।
আফগান তালিবানের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই জানানো হয়েছে, শরীয়াহ আইন মেনে মহিলাদের বাইরে যাওয়ার সম্পূর্ন স্বাধীনতা থাকবে। তবে পুরুষ অভিভাবক নিয়ে বাইরে যেতে হবে। আবার মহিলাদেরকে পড়াশুনা, চাকরি বা রাজনীতি সবকিছুর অনুমতি থাকবে। এমনকি মহিলাদের বিচারপতি করার ব্যাপারে তাদের আপত্তি নেই বলে তারা জানান। চুরির ব্যাপারে হাত কাটার বিধান ও জারি থাকবে বলে জানা গিয়েছে। নব্বই এর দশকে যখন তালিবান ক্ষমতায় ছিল তখন ও আফগানিস্থানে কঠোর শরীয়াহ আইন বলবৎ ছিল।
সম্প্রতি যুদ্ধ বিধ্বস্ত আফগানিস্তান থেকে ধীরে ধীরে সরে যাচ্ছে মার্কিন সেনারা। চলে গিয়েছে ন্যাটো দেশভুক্ত সব দেশের সেনারা। এরই মধ্যে নতুন করে সক্রিয় হতে শুরু করেছে তালেবান। নিত্যদিন আফগানিস্থানের বিভিন্ন জেলার দখল নিচ্ছে সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। তবে এই ভূখণ্ডগুলো আলোচনার মাধ্যমে দখল করা হচ্ছে বলে তালিবানের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে। তবে তালিবান এত দ্রুত আফগানিস্থানের ভূখণ্ডের ব্যাপক অংশ দখলে নেয়ার ফলে উদ্বেগ জাহির করেছে রাষ্ট্রসঙ্ঘ এবং যুক্তরাষ্ট। যুক্তরাষ্ট্র দোহা চুক্তি লংঘন করে ৬৫০ জন সেনা আফগানিস্থানে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আফগান তালিবান এর বিরুদ্ধে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে। ডেড লাইনের মধ্যে সমস্ত মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করা হলে কঠোর পরিণামের হুশিয়ারি দিয়েছে।