মোদি বিরোধী, হিন্দু বিরোধী, ভারত বিরোধী! নিউইয়র্ক টাইমসের চাকরির বিজ্ঞাপনে বেজায় চটেছে হিন্দুত্ববাদীরা

নিউজ ডেস্ক : দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের জন্য একজন বিজনেস রিপোর্টার খুঁজছে বিশ্বখ্যাত মার্কিন সংবাদপত্র নিউইয়র্ক টাইমস। সেই উদ্দেশ্যে একটি বিজ্ঞাপন বের করেছে সংবাদপত্র কর্তৃপক্ষ। তবে সেই বিজ্ঞাপনে বেজায় চটেছে দেশের হিন্দুত্ববাদীরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিউইয়র্ক টাইমসের প্রবল সমালোচনা শুরু করেছে গেরুয়া শক্তিগুলো। তাদের যুক্তি নিউ ইয়র্ক টাইমসের বিজ্ঞাপন আসলে মোদি বিরোধী, হিন্দু বিরোধী এবং ভারত বিরোধী। অবশ্য, সেই বিজ্ঞাপনে এমন কিছুই নেই বলে মত বেশিরভাগ শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের।

 

আসলে কি ছিল সংবাদপত্রটির বিজ্ঞাপনে? বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ভারতের ভবিষ্যত এখন এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়েছে। মিঃ (নরেন্দ্র) মোদি দেশটির হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগনকে কেন্দ্র করে একটি স্বনির্ভর, পেশীবহুল জাতীয়তাবাদকে সমর্থন দিচ্ছেন। এই দৃষ্টিভঙ্গি তাকে আধুনিক ভারতের প্রতিষ্ঠাতাদের স্বপ্ন, আদর্শ এবং বহুসংস্কৃতির লক্ষ্য বিরোধী করে তুলেছে। অনলাইনের কনটেন্ট এবং মিডিয়া স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ করতে সুরক্ষা এবং গোপনীয়তাকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করার সরকারি প্রচেষ্টা অনেক প্রশ্ন তুলেছে বাক স্বাধীনতার ওপর। প্রযুক্তি সাহায্য আশির্বাদ এবং অভিশাপ উভয়ই।

 

সেই সাথে নিউইয়র্ক টাইমস বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে ভারতের অবস্থান সম্পর্কে বলেছে, “বিশ্ব মঞ্চে বৃহত্তর কণ্ঠ জয়ের উচ্চাভিলাষ রয়েছে” এবং “এশিয়ায় চীনের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অংশকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে প্রচেষ্টারত আছে”।

 

 

নিউইয়র্ক টাইমসের বিরুদ্ধে বেশি সক্রিয় দেখা গিয়েছে মোদি ভক্ত নিউজ চ্যানেল WION, গেরুয়া ওয়েবসাইট অপিন্ডিয়া এবং মোদি সরকারের তথ্য এবং সম্প্রচার মন্ত্রক। তবে তাদের জবাব দিয়েছেন অনেকে। তাদের মধ্যে একজন কংগ্রেস এমপি শশী থারুর। তিনি বলেন, এই ব্যাপারে সাংঘিদের সমস্যা আমি বুঝতে পারলাম না, মোদি কি হিন্দি শ্রেষ্ঠত্বের পক্ষে না? মোদি কি উগ্র জাতীয়তাবাদের সমর্থক না? তাহলে এত চিৎকার কিসের।

 

ইচ্ছুক ব্যক্তিদের আবেদন করার জন্য বেশ কিছু শর্তের উল্লেখ করা হয়েছে। যার মধ্যে, দ্রুত ব্রেকিং নিউজ বর্ণনা করার সক্ষমতা, বুদ্ধিদীপ্ত বিশ্লেষণী ক্ষমতা, ভারতের ইতিহাস এবং বর্তমান সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা থাকা ইত্যাদি।

Latest articles

Related articles