ক্যানিং : রাতের অন্ধকারে ঘরে ঢুকে গৃহবধু কে ধর্ষণের চেষ্টা, পুলিশে অভিযোগ হতেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় ওই মহিলাকে। জখম হন ৬ জন। ক্যানিংয়ের স্থানীয় যুবক জাহাঙ্গীর শেখের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তোলা হয়েছে।
এই ঘটনা লোক জানাজানি হতেই পালিয়ে যায়। পরে ঘটনার বিষয় জানিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন আক্রান্ত মহিলা। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে। এরপর অভিযুক্ত যুবক জামিনে ছাড়া পায়।
অভিযোগ ছাড়া পেয়েই নির্যাতিতা মহিলার পরিবারের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। ব্যাপক মারধর শুরু করে। ঘটনায় গুরুতর জখম হন তিন মহিলা -সহ মোট ছয়জন। গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে তাঁরা।
স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, জীবনতলা থানার অন্তর্গত তাম্বুলদহ- ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের নাগরদতলা গ্রামের বাসিন্দা আলমগীর সেখ। পেশায় ভ্যান চালক। অভিযোগ, গত ১৪ আগষ্ট রাত প্রায় ১১ টা নাগাদ আলমগীরের অনুপস্থিতি স্থানীয় যুবক জাহাঙ্গীর সেখ তার স্ত্রীকে ধর্ষণ করার জন্য ঘরের মধ্যে ঢোকে। সেই সময় আলমগীরের স্ত্রী চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন।অভিযোগ, সেই মুহূর্তে ওই গৃহবধুকে চেপে ধরে শ্লীলতাহানি করে অভিযুক্ত যুবক পালিয়ে যায়।
পরের দিন সমস্ত ঘটনা জানিয়ে জীবনতলা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই ভ্যানচালক। অভিযোগ পেয়েই তদন্ত শুরু করে জীবনতলা থানার পুলিশ। অভিযুক্ত যুবক জাহাঙ্গীরকে পাকড়াও করে জেল হেফাজতে পাঠায় জীবনতলা থানার পুলিশ।
২৪ আগষ্ট জেল থেকে ছাড়া পায় অভিযুক্ত। এরপর দলবল নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে ওই ভ্যান চালকের পরিবারের উপর। লোহার রড,লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়।পাশাপাশি ধারালো চাকু দিয়েও আঘাত করা হয়।ঘটনায় গুরুতর জখম হয় ওই ভ্যান চালক- সহ পরিবারের লালবানু সেখ,আলিম সেখ,সেলিম সেখ,সাবিনা সেখ,তুহিনা পারভীন’রা। স্থানীয়রাই ঘটনাস্থলে দৌড়ে আসলে সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত যুবক।
তাঁরা রক্তাক্ত অবস্থায় ৬ জনকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় খুঁচিতলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। সেখানে আলমগীর ও লালবানুর অবস্থা সংকটজনক হলে বুধবার রাতেই ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন চিকিৎসকেরা। সেখানে বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাঁরা। ঘটনার বিষয়ে জীবনতলা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন আক্রান্ত পরিবারের সদস্যরা।ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে জীবন থানা পুলিশ। পাশাপাশি অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।