ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের পরিস্থিতি এখন বলতে গেলে একেবারেই অগ্নিগর্ভ। একের পর এক সিপিএমের পার্টি অফিসে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ। দলীয় নেতা কর্মীদের বাড়িতেও হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। দাউ দাউ করে জ্বলছে পার্টি অফিস। পুড়ছে একের পর এক গাড়ি। এই ছবি দেখছে গোটা ভারত। আগুনের লেলিহান শিখা গ্রাস করে নিচ্ছে পার্টি অফিসের একের পর এক ঘর। এদিকে বিজেপির পালটা দাবি জনরোষে এসব হয়েছে। সিপিএমের পার্টি অফিস থেকে বোমা ছোঁড়া হয়েছিল বলে অভিযোগ তুলেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। এমনকী এটা তো সবে ট্রেলার চলছে এমনটাও দাবি বিজেপি নেতৃত্বের। এদিকে এদিন দমকলকেও আগুন নেভাতে যেতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে দলীয় কর্মীরা আক্রান্ত হয়েছেন এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই রাস্তায় নেমে আসেন বিজেপির কর্মীরা। বিশালগড়ে বামেদের কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। আক্রান্ত হয় সংবাদমাধ্যমও। স্থানীয় তৃণমূল নেতা আশিস লাল সিংহ ও জয়া দত্ত আগরতলায় বামেদের পার্টি অফিসে গিয়ে আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলেন। তবে বিজেপির তরফে বামেদের বিরুদ্ধে পালটা হামলার অভিযোগ তোলা হয়েছে। বিজেপি নেতৃত্ব জানিয়েছেন, আমরা হিংসায় বিশ্বাস করি না। তবে ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙলে কী পরিণতি হয় তার ট্রেলার সকলেই দেখলেন।
এই ঘটনায় বিজেপির তীব্র নিন্দা করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইটারে তিনি লেখেন, “হিংসা এবং গুণ্ডামি ত্রিপুরার বিজেপির মজ্জায় মজ্জায় রয়েছে। এদিন সেটা আবারও প্রমাণিত হয়ে গেল। গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভও আক্রান্ত আজ।” সংবাদমাধ্যমের পাশে দাঁড়িয়ে ত্রিপুরা থেকে বিজেপি সরকারকে হঠানোর ডাক দিয়েছেন তিনি। এদিন বিকেলে উদিপুরে সিপিএমের (CPM) মিছিল ছিল। সেখান থেকে অশান্তির শুরু। উদিপুরে বিজেপির সঙ্গে তুমুল সংঘর্ষ বাঁধে বাম নেতা-কর্মীদের। অভিযোগ, বামেদের কার্যালয় থেকে বোমা ছোঁড়া হয়। ধারালো অস্ত্র নিয়ে গেরুয়া শিবিরের কর্মীদের উপর চড়াও হয় তারা।