বারুইপুর মহকুমা আদালতে শুনানি চলাকালীন কোর্ট লক আপের মধ্যেই আত্মহত্যার চেষ্টা বিচারাধীন বন্দীর

বারুইপুর: ক্যানিং পূর্ব বিধানসভার দেওলি এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বছর তিরিশের শাহজাহান মোল্লা টানা কয়েক মাস ধরে সে জেল খাটছে। জেল খাটছে বলা ভুল হবে । ভোটের ফল ঘোষণা হওয়ার পরে সে ভাঙড় থানায় সারেন্ডার করেছিল। তারপর থেকে কখনো জিবনতলা থানা, কখনো কাশিপুর থানা কখনো বা বকুলতলা থানা— একের পর এক থানায় তাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করলেন তিনি নিজেই।

 

শুক্রবার শাহজাহান মোল্লাকে বারইপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে শুনানির জন্য বারুইপুর মহকুমা আদালতে আনা হয়। সেখানে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ তাকে নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আবেদন করে। আর তখনই শাহজাহান মোল্লা কোর্ট লক আপের মধ্যেই নিজের লুঙ্গি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। সাথে সাথেই কোর্টে থাকা পুলিশ কর্মীরা তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে। সেখানে সে এই গুরুতর অভিযোগ করে।শুধুমাত্র বিজেপি করার অপরাধে তাকে বিভিন্ন মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। দিনের-পর-দিন তাকে বিভিন্ন থানায় পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হচ্ছে। তার বাড়ি জেসিবি দিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়েছে।

তার পরিবারের লোকজন কোথায় আছে সে কিছুই জানেনা। তাই সে আত্মহত্যা করতে চেয়েছিল। ক্যানিংয়ের তৃণমূল নেতা তথা ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লার বিরুদ্ধেও তার অভিযোগ। যদিও পুলিশ জানাচ্ছে, সাজাহান মোল্লার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম জিবনতলা থানার পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো। শাহজাহান মোল্লার আদালতের মধ্যে আত্মহত্যার চেষ্টায় বারুইপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

Latest articles

Related articles