এনবিটিভি ডেস্কঃ দেশের করোনা সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বমুখী, বাড়ছে দৈনিক মৃত্যু সংখ্যার হার । গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৩০৯১ ।
পুজোর পরেই এদিকে রাজ্যে ফের বাড়ল করোনা সংক্রমণ। বুধবার রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৮৫৩। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা কোপে প্রাণ হারিয়েছেন ১৫ জন। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত কোভিডে মৃত্যু হয়েছে ১৯ হাজার ২৬৭ জনের। করোনাকে হারিয়ে একদিনে সুস্থ হয়েছেন ৮০৯ জন। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে করোনা মুক্তের সংখ্যা ১৫ লক্ষ ৭৩ হাজার ৫২০ জন। রাজ্যে করোনা অ্যাক্টিভ কেস ৭ হাজার ৯৪৫। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ৪২ হাজার ১১৩টি করোনা নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।
এদিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলি প্রায় দু’বছর বন্ধ। যদিও রাজ্যে সরকার স্কুল,কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় খোলার জন্য বিশেষ তৎপরতার সাথে কাজ করার নির্দেশ দেন রাজ্যের মুখ্য সচিবকে। অপর দিকে পুজর পরে রাজ্যে করোনা সংক্রমণের হার দিন-দিন ঊর্ধ্বমুখী। শঙ্কিত অভিভাবক মহল।
আজ কাটল স্কুল খোলা নিয়ে আইনি জট। কোনও রকম পরিকল্পনা ছাড়াই স্কুল খোলা হচ্ছে। এমনটাই দাবি করে মামলা দায়ের করা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। যদিও এদিন এই মামলায় স্বস্তি রাজ্যের। স্কুল খোলা নিয়ে রাজ্যের সিদ্ধান্ত বহাল রাখল কলকাতা হাইকোর্ট।
অর্থাৎ আগামী ১৬ই নভেম্বর থেকেই রাজ্যে খুলছে স্কুল। গত ২৯ শে অক্টোবর রাজ্যে স্কুল খোলা নিয়ে যে বিজ্ঞপ্তি রাজ্য দেয় তা বহাল রাখল আদালত। তবে আদালতের স্পষ্ট নির্দেশ অবশ্যই স্কুলের মধ্যে করোনা বিধি মানতে হবে। মানতে হবে সোশ্যাল ডিসটেন্সও।
এদিকে বুধবার যদিও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এক আলোচনায় সম্মতিক্রমে ছাত্রদের অফলাইনে ক্লাস সিদ্ধান্তে উপনীত হয়।
তবে এই প্রশ্ন শুধু রাজ্য সাপেক্ষ নয়। অন্যান্য রাজ্যে খুলে গিয়েছে শিক্ষাঙ্গন। যেমন দিল্লিতে সেপ্টেম্বর মাসেই খুলেছে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির জন্য স্কুল, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়, ১নভেম্বর থেকে স্কুল খুলে গিয়েছে সব শ্রেণীর জন্য।
দুই ভাগে ভাগ হয়ে সকালে ও বিকালে আসছে ছাত্রছাত্রীরা। এর আগেও জানুয়ারি মাসে খুলেছিল দিল্লির স্কুল, কিন্তু প্রায় ১১ হাজার ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষক শিক্ষিকা আক্রান্ত হওয়ায় বন্ধ হয়ে যায়। সবচেয়ে আগে স্কুল খুলেছে মহারাষ্ট্রে ২৫ অক্টোবর খুলে গিয়েছে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণীর জন্য। এর আগে জানুয়ারি তে খুলেছিল মহারাষ্ট্রের স্কুল কিন্তু মার্চ মাসে সব স্কুল কোভিড হটস্পট হয়ে দাঁড়ানোর তা বন্ধ করে দিতে হয়।
একই রকম অবস্থা হয় গুজরাট, পাঞ্জাব ও পুদুচেরিতে ।
আন্তর্জাতিক স্তরে সর্বপ্রথম স্কুল-কলেজ খুলতে শুরু করে স্ক্যান্ডিনেভিয়া । স্ক্যান্ডিনেভিয়া দেশগুলিতে ২০২০ সালে খুলে গিয়েছিল তাদের স্কুল। ডেনমার্কে দশজন করে মাইক্রো গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে ছাত্র-ছাত্রীদের, এবং দুটি শিফটে ৫০ শতাংশ করে আসে ছাত্রছাত্রীরা। সেখানে বলা হয় প্রতিটি মাইক্রো গ্রুপ একসঙ্গে ক্লাস করবে এবং খাবে, অন্য গ্রুপের সঙ্গে তাদের দেখা হবে না।প্রতি ১ ঘন্টা অন্তর হাত ধোয়া এবং সানিটাইজ ব্যাবহার করার নির্দেশ দেওয়া হয়। টিকাকরণ শুরু হয় দ্রুত সেখানে।
এখন কতোটা সফল ভাবে করোনা বিধি মেনে স্কুল খোলা হয়, সেই দিকে তাকিয়ে অভিভাবক মহল ।