এনবিটিভি ডেস্কঃ সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুম্বই সফরকে আগামী ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের কৌশলের সূচনা বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। চলতি বছরে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা এক নাটকীয় ভাবে ভোটের প্রচার শুরু হয় । বিজেপির তারকা প্রচারক,দেশের মূল স্থরের মিডিয়ার একাংশ গেরুয়া রঙে ভাসা এবং হাজারও গুজবের অবসান ঘটিয়ে রাজ্যে তৃতীয়বারের মতো সিংহাসন বসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।বিজেপি গগনচুম্বী আশানিয়ে আসে বঙ্গ রাজনীতিতে।বিধানসভা জয়যাত্রার অনেকাংশ প্রশান্ত কিশোরের কৌশল ছিল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।
বৃহস্পতিবার কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকে আপাত বিদ্রুপ করে রাজনৈতিক কৌশলবিদ পিকে বলেন যে, “বিরোধীদের নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত গণতান্ত্রিকভাবে নেওয়া উচিত। কংগ্রেস দলের নেতৃত্ব একজন ব্যক্তির ঐশ্বরিক অধিকার নয়।”
এদিন একটি টুইট বার্তায় কিশোর বলেন যে,“বিরোধী দলগুলির নেতৃত্ব গণতান্ত্রিকভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। কংগ্রেস দল গত ১০ বছরে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ৯০ শতাংশেরও বেশি নির্বাচনে হেরেছে।”
উল্লেখ্য,তৃণমূল কংগ্রেসের মূল চালিকা শক্তির মধ্যে প্রশান্ত কিশোর একজন অন্যতম হয়ে ওঠেন।এমনকি,প্রশান্ত কিশোর চলতি বছরে পশ্চিমবঙ্গের উপনির্বাচনে ভবানিপুর কেন্দ্রে নিজের ভোটার তালিকায় নাম তলে। এই বছরের শুরুর দিকে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয় এবং ত্রিপুরা ও গোয়ার মতো রাজ্যে দলের অভিযানে রাজনৈতিক কৌশলীকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।আগামী লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসকে জাতীয় স্থরে উন্নীত করার জন্য মরিয়ে হয়ে উঠেছেন তিনি।
বুধবারের মতো সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মুম্বইয়ে কংগ্রেস পার্টির প্রধান শরদ পাওয়ারের বাড়িতে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন। সাংবাদিক সম্মেলনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন যে, “ভারতীয় জনতা পার্টিকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য ‘একটি শক্তিশালী বিকল্প’ প্রয়োজন।”
কংগ্রেস ছাড়া বিরোধী জোট গঠন করা যায় কিনা এমন একজন সাংবাদিকের জবাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন:“(আমরা) যারা লড়াই করতে পারে না তাদের বিষয়ে কিছু করতে পারি না।”
প্রসঙ্গত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহারাষ্ট্র সফরের আগে বিরোধী নেতা ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করেছিলেন। যদিও তিনি কংগ্রেস প্রধান সোনিয়া গান্ধী বা দলের অন্য নেতাদের সঙ্গে দেখা করেননি। সাংবাদিকদের জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেছিলেন যে,“যখনই তিনি দিল্লিতে যান গান্ধীর সাথে দেখা করা “সাংবিধানিকভাবে বাধ্যতামূলক নয়।”