গত সোমবার বেলডাঙ্গার নাজিমুদ্দিন নামের এক বছর ২৫ এর যুবককে মেরে চলন্ত ট্রেনের নিচে ফেলে দিয়ে খুন করার ঘটনা নিয়ে উত্তাল হয়ে ওঠে বেলডাঙ্গা স্টেশন চত্বর। জানা যায়, পেশায় স্কুল ভ্যানচালক নাজিমুদ্দিন বেলডাঙায় নিজের বাড়ি ফিরছিলেন। ট্রেনে সফরকালে ট্রেনের নিত্যযাত্রী কিছু ছানা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় তার।
নাজিমুদ্দিনের সফরসঙ্গী রসিক রাজা ও অমিত কর্মকারের বয়ান অনুযায়ী “ট্রেন বেথুয়াডহরী ছাড়ার পর এক বৃদ্ধা কান্নাকাটি করে বলতে থাকেন তাঁর কিছু ক্যাপসিকাম কেউ চুরি করে নিয়েছে। বৃদ্ধার কান্নাকাটি শুনে নাজিমুদ্দিন বৃদ্ধাকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে যান এবং জানতে চান তাঁর কত টাকার ক্যাপ্সিকাম চুরি হয়েছে। বৃদ্ধা জানান দু আড়াইশো টাকার ক্যাপ্সিকাম চুরি হয়েছে। নাজিমুদ্দিন বৃদ্ধাকে দুশো টাকা দিয়ে দেন। তার পর যাত্রীদের মধ্যে কেউ নিয়েছে কি না তার জানার জন্য খোঁজা শুরু করেন। খুঁজতে খুঁজতে এক ছানা ব্যাবসায়ির দুধের ক্যান থেকে বৃদ্ধার সেই ক্যাপ্সিকামের ব্যাগ উদ্ধার করে নাজিমুদ্দিন। এরপর নাজিমুদ্দিন এর সাথে ছানা ব্যবসায়ীদের বচসা শুরু হয়। ট্রেন দেবগ্ৰাম স্টেশনে দাঁড়ালে ছানা ব্যবসায়ীরা নাজিমুদ্দিন ও তাদের দুজনকে জোর করে ট্রেন থেকে নামিয়ে নেয় এবং ব্যপক মারধর করে। ট্রেন ছেড়ে দিলে রসিক রাজা ও অমিত কর্মকারকে ছেড়ে দেয়। তাঁরা ট্রেনে উঠে পড়ে। কিন্তু নাজিমুদ্দিনকে ট্রেনের চাকার নীচে ফেলে দেয়। ট্রেন নাজিমুদ্দিন এর দেহকে দু টুকরো করে চলে যায়।
এই ঘটনার পরে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে পুরো এলাকা জুড়ে। এরপরেই গত বুধবার মৃত নাজিমুদ্দিনের পরিবারের সাথে দেখা করে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন এসডিপিআই তাদের একটি প্রতিনিধিদলের মাধ্যমে। প্রতিনিধি দলে এসডিপিআই এর রাজ্য সহ সভাপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে ছিলেন সমাজসেবী ডাঃ এম হাসনাৎ এবং সাংবাদিক আনিসুর রহমান ও হাসান বাসির।