রাজনৈতিক হিংসা থামার কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না কেরালায়। গত ১৮ ডিসেম্বর কেরালার আলাপুরা জেলার মানানশেরি এলাকা হয়ে নিজের বাইকে করে বাড়ি ফিরছিলেন এসডিপিআই এর রাজ্য সম্পাদক কে এস শান। সেসময় একটি চার চাকা তাঁকে লক্ষ্য করে ধাক্কা মারলে সে বাইক থেকে ছিটকে পড়ে এবং তার পরেই গাড়ী থেকে বেরিয়ে এসে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁর উপরে আক্রমণ করে। এই ঘটনার পরে উদ্ধার করে প্রথমে একটি বেসরকারি হাসপাতাল ও পরে কোচির একটি সরকারী হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হলে সেখানেই মৃত্যু হয় সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি অফ ইন্ডিয়ার রাজ্য সম্পাদক কে এস শানের।
এই ঘটনায় এসডিপিআই এর সর্বভারতীয় সভাপতি এম কে ফাইজি টুইট করে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান এবং বলেন আরএসএস সন্ত্রাসের শিকার কেরালা রাজ্য সম্পাদক কে এস শান।
এসডিপিআই এর পক্ষ থেকে একটি প্রেস বিবৃতিতে এই ঘটনার জন্য সরাসরি আরএসএসকে দায়ী করা হয়, এবং তারা আরও দাবী করে যে কেরালায় সঙ্ঘ পরিবার বিভিন্ন সাম্প্রদায়ীক ইস্যু নিয়ে বিভাজন করার চেষ্টা করছে। আর এই বিভাজনে যারা বাধা দিচ্ছে তাদের উপর এভাবেই আক্রমণ করে মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করছে সঙ্ঘ পরিবার।
উল্লেখ্য, এই ঘটনার ১২ ঘণ্টার মধ্যেই আরও একটি রাজনৈতিক হত্যার সাক্ষী হয়েছে আলাপুরা জেলাবাসী। ১৯ ডিসেম্বর সকালে বিজেপির ওবিসি মোরচার রাজ্য সম্পাদক রঞ্জিত শ্রীনিবাস কে হত্যা করা হয়।
জোড়া হত্যার ঘটনা নিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। তিনি বলেন “যারা হামলার পেছনে রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ কঠোর ব্যবস্থা নেবে। এ ধরনের সংকীর্ণ মানসিকতা ও অমানবিক কাজ রাজ্যের জন্য খারাপ। হত্যাকারী গোষ্ঠী এবং তাদের ঘৃণাযুক্ত ভাবনাকে বের করে সমাজ থেকে দূরে রাখা উচিত।
দুটো হত্যার সঙ্গে জড়িত কাউকেই এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন।