এনবিটিভি ডেস্কঃ বেশ কিছুদিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল মদন মিত্রের একটি ছবি। যদিও রঙিন মদন সোশ্যাল মিডিয়ার চর্চাতেই থাকেন। তবঃ এবারের ছবিটা কিন্তু পিলে চমকে দিচ্ছে। কলকাতার কোনো এক নামী ক্লাবে হুঁকার পাইপ হাতে বসে আছেন মদন, আর তার বাহুবন্ধনে রয়েছেন এক লাস্যময়ী যুবতী। এই নিয়ে তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া।
সোমবার একটি ফেসবুক লাইভে তিনি বলেন, ‘আমার সঙ্গে কিছু মেয়েদের ছবি ভাইরাল করা হয়েছে স্যোশাল মিডিয়ায়। ১৮ থেকে ১৯ বছরের মেয়েরা আমার নাতনির বয়সী। স্যোশাল মিডিয়ায় আমার ফলোয়ারের শতাংশই ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সী মহিলা। দিনে আমার ৩ থেকে ৪ হাজার ছবি ওঠে। কয়েক হাজার সেলফি তোলেন যুবকেরাও। কিন্তু কই,কখনও তো সেই ছবিগুলি ভাইরাল হয় না’। এরপরই তাঁর ছবি ‘সুপারইমপোজ’ করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

এদিকে মাস খানেক আগেই জানা গিয়েছিল, মদন মিত্রকে নিয়ে তৈরি হচ্ছে বায়োপিক। দুটো বায়োপিক তৈরি হচ্ছে তাঁকে নিয়ে। পরিচালক রাজর্ষি দে মদন মিত্রকে নিয়ে বানাতে চলেছেন বায়োপিক। অন্যদিকে, পরিচালক রাজা চন্দও মদন মিত্রকে নিয়ে বায়োপিক বানাবেন জানিয়েছেন। পর্দায় মদন মিত্রর ভূমিকায় কাকে দেখা যাবে? তা নিয়ে জল্পনার শেষ নেই বিধায়কের অনুগামী মহলে।
তেমনি মদন মিত্রের বায়োপিক বানাতে গিয়ে নাজেহাল পরিচালক রাজর্ষি দে। ফেসবুক লাইভে এসে তিনি জানিয়েছেন, মদন মিত্রের বায়োপিকে অভিনয় করার জন্য দিনে অন্তত দেড় হাজার মহিলা তাঁদের ছবি পাঠাচ্ছেন। ‘অলয়েজ কুল বয়’ মদন মিত্র। পরিচালকের কথায়, বিধায়কের বায়োপিকে কাজ করতে চাইছেন অসংখ্য মহিলা। কেউ তাঁর পরিবারের ঘনিষ্ঠ কারও চরিত্রে অভিনয় করতে চাইছেন। আবার কেউ তাঁরা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত কারও চরিত্রে অভিনয় করতে ইচ্ছুক। কেউ কেউ তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চরিত্রে অভিনয় করার আর্জি রেখেছেন।
তৃণমূলের রঙিন বয় মদন মিত্রকে নিয়ে এত সমালোচনার পরেও কিন্তু তাঁর পরিবারে এ সবের কোনো প্রভাবই পরেনি।
সম্প্রতি একটি রিয়েলিটি টিভি শোতে এসেছিলেন সস্ত্রীক মদন মিত্র। সেখানে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় মদনের স্ত্রী অর্চণা দেবীকে এই সমস্ত বিতর্কের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি স্পষ্টতই জানিয়েছিলেন, মদনকে সম্পুর্ণ বিশ্বাস করেন তিনি। তাই এসব ব্যাপারে একেবারেই মাথা ঘামান না। মদন পত্নীকে এও বলতে শোনা গেছিল, স্বামী যতই ঘুড়ি ওড়ান লাটাইটি তাঁরই হাতে। এই এপিসোডটির ভিডিও সামনে আসতেই ভাইরাল হয়েছিল সেটিও। তবে এবারও ফেসবুক লাইভে মদনের এই ‘সুপারইমপোজ থিওরি’ বা ‘বিতর্কিত ছবি’ কোনোটিই যে তাঁর জনপ্রিয়তায় আচড় ফেলতে পারেনি বিন্দু মাত্র, তা নিন্দুকেও মানবে।