রাশিয়া এবং ইউক্রেনের উত্তেজনার মধ্যেই দুপক্ষের মধ্যে যুদ্ধ আবহে শনিবার প্রথমবারের মতো ইউক্রেনের কোনো সেনার মৃত্যুর খবর পাওয়া গেল। ওই সেনা নিহত হওয়ার ঘটনায় রুশপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দিকেই অভিযোগ তুলেছে ইউক্রেন।সম্প্রতি রুশপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলা বাড়তে শুরু করেছে। এতে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার আশঙ্কা আরও বাড়বে। এর আগে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে রুশপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ওপর সরকারি বাহিনী হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। বিচ্ছিন্নতাবাদীরা সে সময় অভিযোগ করেছিল যে, তাদের ওই অঞ্চলে কামানের গোলা, গ্রেনেড এবং মেশিনগান ব্যবহার করে চার দফায় হামলা চালানো হয়েছে।পূর্ব ইউক্রেনের জয়েন্ট মিলিটারি কমান্ড বলেন, রাশিয়ার সীমান্তের কাছে দুটি চলমান বিরোধপূর্ণ অঞ্চলে এক সেনা মারাত্মক আহত হন। পরবর্তীতে তার মৃত্যু হয়।এদিকে ইউক্রেনের জরুরি বিভাগ জানিয়েছে, শুক্রবার বেশ কয়েক দফা হামলায় তাদের দুই কর্মী আহত হয়েছেন। সেনাবাহিনী জানিয়েছে, বিদ্রোহীরা ৮২ এবং ১২০ মিলিমিটার-ক্যালিবার কামানের গোলা ব্যবহার করেছে। এর আগে যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় এ ধরনের কামানের গোলা ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়।ইউক্রেন সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জনবহুল কেন্দ্রে কামানের গোলা ছুড়েছে বিদ্রোহী যোদ্ধারা। তারা তাদের আর্টিলারি সিস্টেম আবাসিক বাড়ি-ঘরের কাছে স্থাপন করেছে।সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, এভাবেই আমাদের শত্রুরা আমাদেরকে পাল্টা হামলার জন্য উসকে দিচ্ছে। বিদ্রোহীরা বেসামরিকদের ওপর কামানের গোলা ছুড়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। এর পেছনে রাশিয়ার হাত রয়েছে বলেও দাবি করা হয়।এদিকে আনুষ্ঠানিকভাবে ওই সংঘাতের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ অস্বীকার করেছে মস্কো। একে ইউক্রেনের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে উল্লেখ করেছে তারা।
সূত্র : ডেইলি ইনকিলাব