দ্বারকেশর থেকে আবাধে লুঠ হচ্ছে বালি,হেলদল নেই প্রশাসনের

বাঁকুড়া,এনবিটিভি ডেস্কঃ কোতুলপুর দ্বারকেশ্বর নদীর সামড়ো ব্রীজ সংলগ্ণ এলাকা থেকে জেসিপি থেকে দিনের পর দিন অবাধে লুট হচ্ছে বালি।কোতুলপুর প্রশাসন সম্পূর্ণ অন্ধকারে, অথচ দিনের পর দিন রীতিমতো জিসিপি দিয়ে অবাধে চুরি হয়ে যাচ্ছে দ্বারকেশ্বর নদ থেকে বালি।এমনই চিত্র ধরা পরল কোতুলপুরের শ্যামরো ব্রিজ সংলগ্ন বালি খাদানে।

দিবারাত্রি রমরমিয়ে জেসিপি দিয়ে দারকেশ্বরের বুক চিরে তুলে নিয়ে যাচ্ছে টন টন বালি। এমনও অভিযোগ উঠছে,এলাকা ছাড়িয়ে অনেক দূর পর্যন্ত বালি তোলার অভিযোগ উঠছে । যার ফলে দামোদরের গার্ডওয়ার ভেঙে পড়ছে, রাস্তাঘাট নষ্ট হচ্ছে। এলাকার মানুষ জানাচ্ছেন, বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্যের ফলে সন্ধ্যার পর থেকে বাইক সাইকেল বা পথচারীরা যাতায়াত করতে অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে ।এমনকি বালির চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে।জেসিপি এবং ওভারলোডিং নিয়ে প্রশাসনিক ভাবে নিষেধ সত্ত্বেও কিভাবে জেসিপি দিয়ে বালি তুলে পাচার করছে বালি মাফিয়ারা সেসব কথা কি প্রশাসন জানেনা না ? না জেনেও অন্য কোন কারণে চুপ থাকছে?

জানা গিয়েছে,মথুরাটোফর মৌজার দারকেশ্বর ব্রিজসংলগ্ন এক নম্বর খাদান এর মালিক বিশ্বনাথ পাল তিনি এই রমরমিয়ে কারবার টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সরকারের কোটি কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে তবুও হুশ নেই প্রশাসনের ।সরকারি নিষেধকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে শ্রমীক শ্রেণীর পেটে লাথি মেরে বালি কারবারিরা তাদের আখের গুছাচ্ছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কখনও কোনো পরিদর্শনে আসার আগেই বালিয়া মাফিয়াদেরকে খবর দিয়ে দেওয়া হয় তাই সুকৌশলে রমরমিয়ে বসেছে এই বালি ব্যবসা।প্রশাসনিক আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছান কোন অদৃশ্য কারণে তারা খুশিমনে ফিরে যান । এখন দেখার বিষয় এতে কি প্রশাসনের টনক নড়ে না আরো একবার প্রমাণ হবে সর্ষের মধ্যেই ভূত লুকিয়ে আছে । প্রশাসন কি আদৌ কোনো ব্যবস্থা নিতে পারবে? প্রশ্নচিহ্ন কিন্তু ঘুরপাক খাচ্ছে ,না এভাবেই চলবে বালির সিন্ডিকেট ব্যবসা না এভাবেই মারা পড়তে হবে অসহায় মানুষগুলোকে।

বেআইনি ভাবে নদ-নদী থেকে বালি তুলে নেওয়ার জন্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে নদ-নদীর ভারসাম্য আর এর খেসারত দিতে হয় সাধারন অসহায় মানুষগুলোকে। বর্ষাকালে অতিরিক্ত বৃষ্টি কিংবা ব্যারেজের জল ছাড়ার পরেই কি দুর্দশাই পড়তে হয় সাধারন মানুষদষদের।এমনিতেই তো নদ-নদীর বিভিন্ন অংশের বাঁধ ভগ্নদশায় আছে তারপরে বেহিসাবি বালি লুট করার জন্য এক এক জায়গায় নদ নদীর বাঁধ মরণফাঁদ হয়ে আছে তীরবর্তী মানুষের কাছে।

Latest articles

Related articles