মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে গত ৪৮ ঘণ্টা ধরে হকার ও বেআইনি জবরদখল উচ্ছেদ অভিযান নিয়ে সমালোচনা করতে ছাড়ছেন না বিরোধীরা।
এর মধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাড়িয়ে মদন মিত্র বলেন, “মনে রাখতে হবে এটা অপারেশন সানশাইন নয়। সিপিএম জমানায় মারধর করে হকারদের তুলে দেওয়া হয়েছিল। এখন কোনও হকারকে মারধর করে তোলা হচ্ছে না। মাইকিং করে তুলে দেওয়া হচ্ছে। কেউ যদি এর পরেও উঠতে না চায়, তখনই একমাত্র পুলিশকে ফোর্স ব্যবহার করতে হচ্ছে। নইলে নয়।”
হকার উচ্ছেদ নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “হকারদের অমানবিকভাবে তুলে দেওয়া হচ্ছে। ওদের আগে থেকে নোটিস দেওয়া উচিত ছিল।”
এর জবাবে মদন মিত্র বলেন, “হকাররা কি নোটিস দিয়ে বসেছিল? তুলে দিয়ে ঠিক করছেন মুখ্যমন্ত্রী।”
মদন মিত্র বলেন, “ভুলটা করে গেছিল সিপিএম। পরে আমাদেরও কেউ কেউ যে তাদের আস্কারা দিয়েছে, তা নিয়ে সন্দেহ নেই। কথা ছিল, ফুটপাতের দুই তৃতীয়াংশ ছেড়ে দিয়ে ওরা এক তৃতীয়াংশে বসবে। দোকান তৈরি করতে শুধু প্লাস্টিক ব্যবহার করবে। কিন্তু ওরা পেয়ে বসেছে। ধর্মতলা এলাকায় ফুটপাত তো ওদের দখলেই চলে গেছে। রাস্তার অর্ধেকও দখল করে নিয়েছেন ওঁরা।”
মদনের কথায়, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হকার-বিরোধী নন। তিনিও চেয়েছিলেন, হকাররা দুটো খাক, অন্ন পাক। কিন্তু মনে রাখতে হবে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুধু তৃণমূলের মুখ্যমন্ত্রী নন। তিনি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।”
তিনি আরো বলেন, “এখন যা অবস্থা, তাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না বললে যেন কিছু হবে না। কেউ নিজের কাজটা করছেন না। গায়ে হাওয়া লাগিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রী না বলা পর্যন্ত হচ্ছে না।”