আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের দ্বিতীয় বর্ষের এমবিবিএস পড়ুয়া ছাত্রীকে কামারহাটি ইএসআই হাসপাতালের কোয়ার্টারে নিজ ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তথ্যসূত্র অনুসারে, ছাত্রীর পিতা মুম্বাইয়ের ব্যাংকে কর্মরত।
মৃত ছাত্রীর মা কামারহাটি ইএসআই হাসপাতালের চিকিৎসক। ঐ দিন রাতে ঘরে ঐ পড়ুয়া একাই ছিল এবং তাঁর মা হাসপাতালের ডিউটিতে ব্যাস্ত ছিলেন। রাতে ডিউটি চলাকালীন তাঁর মা বারবার ফোন করলেও কোনোও উওর না পাওয়ায় সন্দেহের সৃষ্টি হয়। শুক্রবার রাতে তাঁর মা নিজের ঘরে ঢুকে মেয়েকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেই, তৎক্ষণাৎ পুলিশের কাছে খবর দেন এবং ঐ পড়ুয়ার দেহকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানেই ডাক্তাররা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
তদন্তে পুলিশ জানা গেছে যে, ঘটনাস্থলে কোন সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি এবং কোনো অপরাধমূলক কাজের ইঙ্গিতও মেলেনি। ছাত্রী সম্পর্কে মায়ের মতে সম্প্রতি কোনো আচরণগত পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়নি।
এছাড়াও, স্মরণ করিয়ে দেওয়া যাক যে, ৯ আগস্ট আরজি কর হাসপাতালের সেমিনার রুম থেকে একজন চিকিসক পড়ুয়ার (তিলোত্তমা) দেহ উদ্ধার হয়েছিল। সেই ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় গোটা দেশ উত্তাল হয়ে ওঠে, যা এখনও সকলের মনে রয়ে গেছে। শিয়ালদহ আদালতে অভিযুক্ত সঞ্জয় রাইকে আজীবন কারাবাসের সাজা দেয়া হয়েছিল।
বর্তমান ঘটনার সাথে পূর্বের এই ঘটনা নিয়ে তুলনা করা হলেও, পুলিশ উভয় ঘটনার আলাদা আলাদা তদন্ত করছে।