
উত্তরপ্রদেশের ছায়া এবার পশ্চিমবঙ্গে, নদিয়ায় মাছ মাংসের ওপর জারি হল নিষেধাজ্ঞা
এবার উত্তরপ্রদেশের অনুকরণে খাস পশ্চিমবঙ্গেও জারি করা হল দোল পূর্ণিমার দিন মাছ মাংস খাওয়ার ওপর বিশেষ ‘ফতোয়া’। গত সোমবার, তৃণমূল পরিচালিত নদিয়া পৌরসভার তরফে এক নাগরিক সম্মেলনে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পৌরসভার সভাপতি বিমানকৃষ্ণ সাহা যদিও এটিকে ফতোয়া বলতে নারাজ। তার দাবি যে, তারা আসলে তিন-দিন ব্যাপী দোল-উৎসবের সময় নদিয়া-বাসী যাতে মাছ মাংস ভক্ষণ থেকে বিরত থাকেন, তার আর্জি জানিয়েছেন। তার আরও দাবি, ওই তিনদিন প্রকাশ্যে মাছমাংস কাটার দৃশ্য কিছু মানুষকে মানসিকভাবে বিচলিত করতে পারে, তাই ব্যবসায়ীদেরকেও ওই কদিন বিক্রিভাটা করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।

এখন প্রশ্ন উঠছে, কে, কবে, কখন, কি খাবে তা এভাবে ঠিক করা যায় কিনা? এর যৌক্তিকতা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। নাগরিকদের অনেকেই বলছেন, এরকম ঘটনা অতীতে একমাত্র উত্তরপ্রদেশেই দেখা যেত। কথায় আছে, ‘মাছে-ভাতে বাঙালী’। পুজো-পার্বণ সহ অনেক অনুষ্ঠানেই মাছ-মাংস খেয়ে থাকে বাঙালীরা। আমিষ খাওয়া নিয়ে সেভাবে কথাও কোন বিধি-নিষেধ নেই। তাই তারা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন, পশ্চিমবঙ্গেও তৃণমূল গেরুয়া-শিবিরের মতো এমন নিয়ম চালু করতে চাইছে।

তিন দিন বিক্রিভাটা বন্ধ রাখার জন্যে ব্যবসায়ীদের আর্থিক ক্ষতির বিষয়টিও সামনে আসছে। এক মাংস বিক্রেতা জানিয়েছেন, তিন দিন দোকান বন্ধ রাখলে তাদের অনেকটাই ক্ষতি হবে।
এভাবে, সাধারণ মানুষের খাদ্যাভাসের ওপর হস্তক্ষেপ ও রুটিরুজিকে বিঘ্নিত করে, এমন সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে বিতর্ক।