ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দীর্ঘদিনের উত্তেজনার মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা করা হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় দীর্ঘ আলোচনার পর এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইশাক দার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, “পাকিস্তান ও ভারত অবিলম্বে কার্যকর একটি যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। পাকিস্তান সবসময় এই অঞ্চলে শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য কাজ করে এসেছে, তবে নিজের সার্বভৌমত্ব ও ভূখণ্ডের অখণ্ডতার সঙ্গে কোনো আপস করেনি।”

মার্কিন প্রেসিডেন্টের ঘোষণা
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে এই যুদ্ধবিরতির কথা ঘোষণা করে বলেছেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় দীর্ঘ আলোচনার পর আমি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে ভারত ও পাকিস্তান একটি দ্রুত ও পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতিতে যেতে সম্মত হয়েছে। উভয় দেশকে অভিনন্দন।” তিনি আরও বলেন, “এই পদক্ষেপের মাধ্যমে দুই দেশই সাধারণ জ্ঞান ও অসাধারণ বুদ্ধিমত্তা দেখিয়েছে।”

ভারতের প্রতিক্রিয়া
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব একটি সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলনে এই যুদ্ধবিরতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, “আজ বিকেল ৩:৩০ মিনিটে পাকিস্তানের ডিরেক্টর জেনারেল অব মিলিটারি অপারেশনস (ডিজিএমও) ভারতের ডিজিএমও-র সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। উভয় পক্ষ স্থল, আকাশ ও সমুদ্রে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে সম্মত হয়েছে। আগামী ১২ মে দুপুর ১২টায় দুই ডিজিএমও আবার কথা বলবেন।”
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের কঠোর নীতির কথা পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, “ভারত সবসময় সন্ত্রাসবাদের সব রূপ ও প্রকাশের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থানে থেকেছে এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত রাখবে।” যুদ্ধবিরতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ভারত ও পাকিস্তান আজ গুলি ও সামরিক পদক্ষেপ বন্ধে একটি সমঝোতায় পৌঁছেছে।”

এই যুদ্ধবিরতি ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য মুহূর্ত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতা এই উত্তেজনা প্রশমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। উভয় দেশের এই সিদ্ধান্তকে এ অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার দিকে একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।