
সোনার কেল্লা হোক বা খনি, বাঙালির কাছে সোনা মনে এখনো এক চোখ ধাঁধানো বিস্ময়। যার লোলুপতা, বাঙালি সম্বরণ করতে পারেনি আজও, এবং সোনা প্রতিবছর মূল্য বৃদ্ধি করে নিজেকে অমূল্য রতন করে তুলছে। সভ্যতার প্রাচীন ইতিহাস ঘেঁটে জানা যায়, নিশকালো মানুষগুলো অন্যের জমিতে অক্লান্ত ও অমানবিক পরিশ্রম করে মাটি খুঁড়ে একটুকরো সোনার হদিস পাওয়াটাই ছিল তাদের কাছে এক অভূতপূর্ব আবিষ্কার। অ্যালকেমিস্টদের সীসা থেকে সোনা তৈরি করার স্বপ্ন দেখেছেন। যুগের পর যুগ কেটে গেলেও সম্ভব হয়ে ওঠেনি।
তবে গবেষক হিসেবে অ্যালকেমিস্ট নয়, সুইজারল্যান্ডের ‘ইউরোপিয়ান অর্গানাইজেশন ফর নিউক্লিয়ার রিসার্চ’ তথা সি.ই.আর.এন-এর বিজ্ঞানীরা করলেন প্রাগৈতিহাসিক যুগের অ্যালকেমিস্টদের স্বপ্ন পূরণ। হয়তো একেই বলে “কালের যাত্রার ধ্বনি”, যা ধ্বনিত করেছিলেন স্বয়ং বিশ্ববরেণ্য রবীন্দ্রনাথ।
‘অ্যালিস কোলাবরেশন’-এর ‘ফিজিক্স রিভিউ জার্নালসে’ প্রকাশ পায় সীসা থেকে সোনা নির্মাণের একটি গবেষণা পত্র। এই গবেষণা বিজ্ঞান মহলে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারে এমনটাই মনে করছেন গবেষকদের একাংশ।