
শনিবার ও রবিবার ধারাবাহিকভাবে ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে এশিয়ার কয়েকটি দেশ। ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপ থেকে শুরু করে ভারতের অরুণাচল প্রদেশ, মায়ানমার, আফগানিস্তান এমনকি চীনেও রেকর্ড করা হয়েছে মাঝারি মাত্রার কম্পন। বিশেষজ্ঞরা যদিও বলছেন, এসব ঘটনার মধ্যে প্রত্যক্ষ ভূতাত্ত্বিক যোগসূত্র নেই, তবু ঘনঘন এই কম্পন ভবিষ্যতে বড় ধরনের ভূমিকম্পের ইঙ্গিত দিচ্ছে কি না, তা নিয়ে মানুষের মনে তিব্র আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
কোথায় কোথায় ভূমিকম্প অনুভূত হল?
১. অরুণাচল প্রদেশ (ভারত):
- শনিবার: ডিবাং ভ্যালি এলাকায় রিখটার স্কেলে ৩.৪ মাত্রার ভূমিকম্প রেকর্ড করা হয় যার উৎপত্তি ভূপৃষ্ঠ থেকে ১২ কিলোমিটার নিচে।
- রবিবার ভোর ৫:০৬ টায়: আরেক দফা কম্পন (মাত্রা ৩.৮), যার গভীরতা ভূপৃষ্ঠ থেকে মোটামুটি ১০ কিলোমিটার গভীরে।
- ক্ষয়ক্ষতি: ভূমিকম্পের ফলে এখনও পর্যন্ত কোনো হতাহত বা বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর নেই।
২. ইন্দোনেশিয়া (সুমাত্রা দ্বীপ):
- রাত ২:৫০ টায়: ৪.৬ মাত্রার কম্পন অনুভূত হয় যার উৎপত্তি স্থল ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৫৮ কিলোমিটার গভীরে।
- ক্ষয়ক্ষতি: ভূমিকম্প টের পেয়ে আতঙ্কিত বাসিন্দারা রাতের বেলা বাড়ি ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসেন। তবে ক্ষয়ক্ষতির তেমন কোনোও খবর পাওয়া যায়নি।
৩. অন্যান্য দেশ:
- মায়ানমার: শনিবার ৫.৪ মাত্রার ভূমিকম্প রেকর্ড করা গেছে।
- আফগানিস্তান: শনিবারই প্রায় ৪.২ মাত্রার কম্পন রেকর্ড করা হয়।
- চীন: শুক্রবার ৪.৫ মাত্রার কম্পন অনুভূত হয়েছে।

ভূমিকম্পের এই ধারাবাহিকতার পিছনে কারণটি আসলে কি?
ভূবিজ্ঞানীদের মতে, অরুণাচল হিমালয়ান সিসমিক বেল্টের অংশ, যেখানে ভারতীয় ও ইউরেশিয়ান টেকটনিক প্লেটের সংঘর্ষ ঘনঘন ভূমিকম্প সৃষ্টি করে। অন্যদিকে, ইন্দোনেশিয়া “রিং অফ ফায়ার” অঞ্চলে অবস্থিত, যেখানে পৃথিবীর প্রায় ৯০% ভূমিকম্পই ঘটে। তবে, এই সব ভূমিকম্পের প্রত্যেকটি ঘটনা আলাদা আলাদা ভূতাত্ত্বিক ঘটনার ফল। এগুলির নিজেদের মধ্যে সরাসরি কোনও সম্পর্ক নেই।