ইউএনও’র হস্তক্ষেপে উপড়ে পড়া পলাশবাড়ীর ঐতিহ্য-ধারণকারী পলাশফুল বৃক্ষটি দন্ডায়মান

মোঃ সাগর ইসলাম,

স্টাফ রিপোর্টার গাইবান্ধাঃ- 

চিরায়িত ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় পলাশফুলের ব্যাপক অরন্যের ইতিহাস থেকেই পলাশবাড়ীর নামকরন।পলাশবাড়ী উপজেলার নামকরনের সাথে পলাশফুল বৃক্ষের নাম আষ্টে-পৃষ্টে জড়িত।

সেই ঐতিহ্যবাহী ইতিহাসখ্যাত আনুমানিক কুড়ি বছর বয়সি লাল টুকটুক রংয়ের থোকা-থোকা ফুলের শোভা বর্ধনকারি তেমনি পলাশফুল একটি বৃক্ষের অবস্থান ছিল উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ের প্রধান গেইট সংলগ্ন পুকুরপাড় ঘেঁষে।

গত দু’দফা উপূর্যপরি ভারী বর্ষণে বৃক্ষটির গোড়া থেকে মাটি সরে যাওয়ায় সুন্দরের প্রতিক পলাশফুলের বৃক্ষটি আকস্মিক উপড়ে পুকুরের পাড়ে হেলে পড়ে। হেলে গেলেও শ্রষ্টার পরম মহিমায় গাছটি জীবিতই রয়ে যায়।

মঙ্গলবার(২৯জুলাই) উপড়ে পড়া পলাশফুলের গাছটিকে আবারো যথাস্থানে দন্ডায়মান করতে শত ব্যস্ততার মধ্যেও বৃক্ষপ্রেমি পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুজ্জামান বিশেষ উদ্যোগ গ্রহন করেন।যান্ত্রিক সরঞ্জাম ব্যবহারের মধ্যদিয়ে নিরলস চেষ্টায় টেনে-হেঁচরে উত্তোলন করে জীবদ্দশায় বৃক্ষটি অবশেষে জীবনের কাছাকাছি নেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।

এরআগে ২০১৮ সালে গাছটি হেলে পড়েছিল, সেসময়ে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেনের প্রচেষ্টায় গাছটি দন্ডায়মান করা হয়েছিল। এ বছর পুনরায় গাছটি উপড়ে পড়ায় পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুজ্জামান গাছটি পুনরায় দন্ডায়মান করার উদ্যেগ গ্রহণ করেন।

এলাকাবাসী- ভবিষ্যতে যাতে পলাশবাড়ীর পলাশফুলের এ ঐতিহ্যবাহী গাছটি যাতে উপড়ে না যায় সেজন্য গাছের গোড়ায় শক্ত একটি ভিত্তি তৈরি করার দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

Latest articles

Related articles