স্ত্রী ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।স্ত্রী রত্না বয়েস আনুমানিক ৩২।অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে নিয়ে ডাক্তার দেখানোর জন্য গিয়েছিলেন দিনমজুর জাহাঙ্গীর আলম।সঙ্গে ছিল ৬ বছরের ফুটফুটে মেয়ে সানজিদা।ডাক্তার দেখানোর পর বিপরীত দিকে ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আলট্রাসনোগ্রাম করানোর জন্য রাস্তা পার হচ্ছিলেন তারা।
আর সেই মুহূর্তেই ছুটে আসা দ্রুতগামী ট্রাক চাপা দেয় তিন জন কেই। ঘটনাস্থলেই মারা যান মা , মেয়ে ও বাবা।তবে আল্লাহর বিশেষ কৃপায় বেঁচে যায় গর্ভের সন্তান। মৃত্যুর আগে প্রসব হয়ে যায় রত্নার। মায়ের গর্ভ ছেড়ে আসা নবজাতকটি পৃথিবীর আলো দেখলেও তা যেন তার সারা জীবনের জন্য অন্ধকার।
এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে বাংলাদেশের ঢাকা – ময় মন সিংহ মহাসড়কের ত্রিশাল পৌর শহরের হাসপাতালের সামনে।ঘটনাটি ঘটে শনিবার দুপুর ২.৩০ টার দিকে। ময়মনসিংহগামী তাজ ও মাহী এন্টারপ্রাইজের একটি মালবাহী ট্রাক চাপা দেয় নবজাতকটির মা-বাবা ও বোনকে।
ভূমিষ্ঠ হওয়া ওই মেয়ে নবজাতকটি জাহাঙ্গীর-রত্না দম্পতির চতুর্থ সন্তান। জাহাঙ্গীর ত্রিশাল উপজেলার মঠবাড়ী ইউনিয়নের রায়মনি গ্রামের বাসিন্দা। বেঁচে যাওয়া নবজাতকটিকে স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে প্রথমে ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে কমিউনিটি বেইসড মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।প্রাথমিক চিকিৎসায় দেখা যায় শিশুটির হাতের হাড় ভেঙে গেছে,তবে আপাতত সে সুস্থ আছে।দেহে আর অন্য কোনও সমস্যা হয়নি।