পাথারকান্দির বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পালের বিভিন্ন দুর্নীতি নিয়ে সরব এ আই ইউ ডি এফ এর কর্মী আলহাজ উদ্দিন

এনবিটিভি ডেস্ক: পাতারকান্দির বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পালের দুর্নীতি দেখে জনসাধারণের সহ্য হচ্ছে না। কিন্তু কথা বলতে ভয় পাচ্ছেন অনেক জনসাধারণ৷ যার জন্য এ আই ইউ ডি এফ এর কর্মী আলহাজ উদ্দিন আজকে বিভিন্ন দুর্নীতি নিয়ে গর্জে উঠলেন।

 

প্রথমত হচ্ছে আজ থেকে ২ বছর আগে পাতারকান্দি বিধানসভা কাবাড়িবন্দ জিপির ১ নং ওয়ার্ডে একটি ঝুলন্ত ব্রিজের কাজ আরম্ভ হয়েছিল কিন্তু দুঃখের বিষয় আট দশ দিন কাজ হওয়ার পরে আজ পর্যন্ত কাজ বন্ধ৷ এরপরে কাবাড়িবন্দ জিপির ৪ নম্বর ওয়ার্ডে এই রকম আরেকটি ঝুলন্ত ব্রিজ আরম্ভ হয়েছিল, কিন্তু দশ পনেরো দিন কাজ হওয়ার পর আজ পর্যন্ত কাজ বন্ধ৷ এদিকে আছিমগঞ্জ ঘড়ের মুখ থেকে সোনাতুলা পর্যন্ত যে রাস্তার শিলান্যাস সাইনবোর্ড দুটি তে ৯০ লাখ টাকার কাজ দেখা যাচ্ছে,কিন্তু দুই কিলোমিটার কাজ হওয়ার পর এ কাজটি ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে৷ এই রাস্তায় মেন্দি বাড়ি নামের একটি জায়গায় ২০১৬ এর আগে লংগাই নদীর উপরে একটা ব্রীজের চারটা কোটি হয়েছিল… কিন্তু আজ পর্যন্ত পাঁচটা হয় নাই, এবং ২০১৮ সালে মাননীয় কৃষ্ণেন্দু পাল বলেছিলেন কটামণি তে একটি সংখ্যালঘু কলেজ স্থাপিত করবেন বলে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন,কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনো কথাই শোনা যাচ্ছে না৷ তারপরে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ২০১৬ এর আগে পাথারকান্দি সাব রেজিস্ট্রার অফিসে জমি ক্রয়-বিক্রয় করতে পারমিশন আনতে হলে পনেরো থেকে দু হাজার টাকা লাগতো, কিন্তু ২০১৬ এর পরে জমি ক্রয়-বিক্রয় করতে পারমিশন আনতে হলে বর্তমানে ১৫০০০ হাজার টাকা লাগে সেটা কার পকেটের যাচ্ছে সেই প্রশ্ন এ আই ইউ ডি এফ এর কর্মীর৷ তারপরে অরুণোদয়ের অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম মাইনোরিটি ওয়ার্ডে ৩০ টি আর আদার্স ওয়ার্ডে ৭০ টি সেই দুর্নীতি কেন করছেন এবং এই সব হচ্ছে মাত্র তিনটি জিপিতে কাবাড়িবন্দ জিপি, জুরবাড়ি ডেফলআলা জিপি, বাঘন জিপি ও অন্য জিপি গুলিতে জিপি সভাপতির হাতে দিয়ে দিছেন সেটা উত্তর জানতে চান এ আই ইউ ডি এফ এর কর্মী আলহাজ উদ্দিন৷ এই অসংখ্য দুর্নীতির কারনে ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে পাথারকান্দির উন্নয়নের সারতে বহিরাগত ব্যক্তি তাড়িয়ে স্থানীয় ব্যক্তি নির্বাচিত করার আহ্বান করেন আর পাল বাবুর বিদায়ী রণঘন্টা বাজা শুরু হয়েছে বলেন এ আই ইউ ডি এফ এর কর্মী আলহাজ উদ্দীন ।

Latest articles

Related articles