নিউজ ডেস্ক : নবান্ন অভিযানের সময় রাজ্য পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধে বাম নেতা মইদুল ইসলাম এর মৃত্যুর ব্যাপারে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী এবং শাসক দলকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, আজ বাংলায় গণতন্ত্র চরমভাবে বিপন্ন। কর্মসংস্থানের দাবিতে ১১ই ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হওয়া ওই নবান্ন অভিযানে পুলিশের আচরণকে বর্বোরোচিত এবং নির্মম বলে আখ্যায়িত করেছেন তিনি।
তিনি বলেন, আজ একটা দূঃখজনক ও বেদনাদায়ক খবর পেলাম যার নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের নেই আমরা শোকাহত, মর্মাহত। বাংলার গনতন্ত্র যে বিপন্ন সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা ।
কর্মসংস্থানের দাবি করাই বেকার যুবক আজ জলজ্যান্ত লাশে পরিনত এটা কোন সভ্য দেশে হতে পারেনা । বাংলায় সাধারন মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার হরন করছে স্বৈরাচারী ও স্বেচ্ছাচারী সরকার।
মা মাটি মানুষের সরকার আজ মায়ের কোল থেকে ছেলেকে কেড়ে নিল । সন্তানদের নিকট থেকে তাঁদের পিতাকে কেড়ে নিল ।
গত ১১ই ফেব্রুয়ারী নবান্ন অভিযানে যে ব্যবহার করেছিল রাজ্যের প্রশাসন তার আঘাতে গুরুতর আহত বাঁকুড়া জেলার কোতলপুর ব্লকের বাংলার যূবক মইদুল ইসলাম (ফরিদ) মিদ্যা কলকাতার এক বেসরকারী নার্সিংহোমে চিকিৎসারত অবস্থায় মৃত্যুবরন করেন।
মইদুল ইসলামের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে শাস্তির দাবী জানিয়ে পূর্ব নির্ধারিত সমস্ত কর্মসূচী পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী ভাইজান বাতিল করার ঘোষনা করেন।
সেই সঙ্গে ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট দ্রুত ময়না তদন্ত করে নিহত মইদুল মিদ্যার মরদেহ তাঁর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য এবং নবান্ন অভিযানে গিয়ে নিখোঁজ পাঁশকুড়ার ভারপ্রোতা গ্রামের যূবক দীপক পাঁজাকে তাঁর বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার দাবী করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নিকট। উল্লেখ্য ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মৃতের পরিবার থেকে একজনকে চাকরি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তবে পরিবারের তরফ থেকে অবশ্য উচ্চ পর্যায়ের চাকরির দাবি করা হয়েছে।