নিউজ ডেস্ক : ভোট আমাদের ইচ্ছা মতোই হচ্ছে। গতকালই এই কথাই বলেছেন দিলীপ ঘোষ। আর বিরোধীদের বরাবরের অভিযোগ, মুখ্য নির্বাচন কমিশনের হিসাবে সুনিল আরোরা যতগুলি রাজ্যে ভোট পরিচালনা করেছেন প্রায় সব জায়গাতেই তিনি সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন বিজেপিকে। তবে বিদায়ে যাওয়ার সময় ও ঠিক তেমনি একটা কাজ করলেন তিনি। মুর্শিদাবাদের মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা সামশেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুরে পুনঃ নির্বাচনের ঘোষণা করা হলো ঠিক ঈদের দিনেই। রমজানে ভোট আয়োজন করে এমনিতেই অসন্তুষ্ট মুসলিমরা। তার উপর এবার ভোট ঈদের দিনে। স্বাভাবিকভাবেই ওই দিনে যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে মুসলিমরা ভোট দিতে যাবেন না বলে ভোট বয়কট এর ডাক দিয়েছেন অনেকে। আর সে ক্ষেত্রে সরাসরি সুবিধা হবে বিজেপির।
২৬ এপ্রিল অর্থাৎ সপ্তম দফায় সামশেরগঞ্জ (Samsherganj) আসনে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গত ১৫ এপ্রিল ওই কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী রেজাউল হক করোনায় প্রয়াত হন। কংগ্রেস প্রার্থীর মৃত্যুতে নিয়ম মেনে বাতিল করতে হয় সামশেরগঞ্জ কেন্দ্রের নির্বাচন। জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়, নিয়ম মেনে পরে ওই দুই কেন্দ্র ভোটের দিন ঘোষণা করা হবে। অন্যদিকে, জঙ্গিপুর কেন্দ্রেও ২৬ এপ্রিলই ভোট হওয়ার কথা ছিল। এই কেন্দ্রেও থাবা বসায় করোনা। ১৬ এপ্রিল মৃত্যু হয় এই কেন্দ্রের সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী তথা আরএসপির (RSP) লোকাল কমিটির সম্পাদক প্রদীপ নন্দীর। যথারীতি ওই কেন্দ্রেও ভোট পিছিয়ে দিতে হয়।
সোমবার ওই দুই কেন্দ্রেই ভোটের দিন ঘোষণা করেছে কমিশন (Election Commission)। বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে, ওই দুই কেন্দ্রে ভোট হবে ইদের দিন অর্থাৎ আগামী ১৩ মে। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষদিন আগামী ২৬ এপ্রিল। মনোনয়ন প্রত্যাহার করা যাবে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত। দুই কেন্দ্রেই ফলাফল ঘোষণা করা হবে ১৮মে। মুশকিল হল, এই দুই কেন্দ্রেই ভোটারদের মধ্যে সংখ্যালঘুদের সংখ্যাই বেশি। স্বাভাবিকভাবেই ইদের দিন ভোট ঘোষণা হওয়ায় শুরু হয়েছে বিতর্ক। ইতিমধ্যেই উপনির্বাচনের দিন বদলে দেওয়ার দাবিতে সরব হয়েছেন স্থানীয়রা। অনেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভোট বয়কটের দাবিও জানাচ্ছেন।