নিউজ ডেস্ক : ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর থেকে ভারতের পাঞ্জাবে মুসলিমদের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছিল ব্যাপক পরিমাণে। তাই সীমিত সংখ্যক মুসলিম অধিবাসী যারা পাঞ্জাবে থেকে গিয়েছিল তারা বিক্ষিপ্ত ভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসবাস করত রাজ্যটির বিভিন্ন প্রান্তে। শিখ ধর্মানুসারী অধ্যুষিত বর্তমান পাঞ্জাবে একটি মাত্র শহর আছে যেখানে মুসলিমদের সংখ্যাধিক্য রয়েছে। শহরটির নাম মালেরকোটলা। বহুদিন থেকে ওই অঞ্চলের মুসলিমদের দাবি মালেরকোটলাকে একটা পৃথক জেলা হিসেবে ঘোষণা করার। শেষ পর্যন্ত তাদের সেই দাবি পূরন হল বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংহের হাত ধরে। পবিত্র ঈদ উল ফিতরের দিন তিনি মুসলিমদের জন্য এই জেলা তৈরির ঘোষণা করেন। এটি পাঞ্জাবের ২৩তম জেলা হিসেবে রাজ্যটির প্রশাসনিক মানচিত্রে যুক্ত হবে।
বর্তমান পাঞ্জাবের সুংরুর জেলা থেকে এই জেলাটি পৃথক করা হবে। এছাড়াও নিকটস্থ আহমেদগড়সহ বেশ কিছু জনপদ নবগঠিত এই জেলার অংশ হবে। মুখ্যমন্ত্রী জেলাটির জন্য ৫০০ কোটি বরাদ্দের মেডিক্যাল কলেজ তৈরির ঘোষনা করেন। এছাড়াও তৈরি হবে একটি মহিলা কলেজ, একটি নতুন বাস স্ট্যান্ড ও মহিলা থানা প্রতিষ্ঠার কথা ঘোষণা করেন।
মুসলিমদের জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়াতে ক্ষুব্ধ উত্তর প্রদেশের কট্টর হিন্দুত্ববাদী মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তিনি এই সিদ্ধান্তকে বিভাজনমূলক হিসেবে অভিহিত করেছেন। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী যোগিকে পাঞ্জাবের ব্যাপারে নাক গলানো থেকে দূরে থাকতে বলেছেন। তিনি বলেছেন, যোগীর উচিত পাঞ্জাবের থেকে সব দিক থেকে পিছিয়ে থাকা তার নিজের রাজ্যের ব্যাপারে চিন্তা করা উচিত। তার রাজ্যে করোনা পরিস্থিতিতে বিপর্যস্ত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পরিষেবা বহাল করতে নজর দিতে উচিত।