নিউজ ডেস্ক : মন্দিরের ৫ কিমি ব্যাসার্ধের মধ্যে নিষিদ্ধ গরুর মাংস নিষিদ্ধ। নয়া হিন্দুত্ববাদী হুংকার আসামে। এই হুমকি দিচ্ছে আসামের ক্ষমতাসীন সাম্প্রদায়িক শক্তি বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী কট্টর হিন্দুত্ববাদী হেমন্ত শর্মা। গতকাল আসামের বিধানসভায় এই মর্মে একটি বিল আনে সাম্প্রদায়িক শক্তি বিজেপি। এই বিল পাশ হলে মোতাবেক হিন্দু, শিখ ও জেইন সম্প্রদায়ের মন্দির চত্বরের ৫ কিলোমিটারর মধ্যে গরুর মাংস এবং গরুর মাংসজাত পণ্য কেনাবেচা নিষিদ্ধ হবে।
গতকাল উত্তর পূর্ব ভারতের বৃহত্তম রাজ্যে, আসাম গো-সুরক্ষা বিল ২০২১ নামের ওই বিলটি বিধানসভায় পেশ করেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। একাধিক রাজ্যে গোহত্যার বিরুদ্ধে আইন তৈরি করেছে সাম্প্রদায়িক শক্তি বিজেপি। তিনি সরাসরি নিষিদ্ধ না করে কৌশলে এই একই পদক্ষেপ নিয়ে রাজ্যের কোটি কোটি মুসলমানদের খাদ্যাভ্যাসে হস্তক্ষেপ করতে চায় হিন্দুত্ববাদীরা। এ প্রসঙ্গে আসম বিধানসভার বিরোধী দলনেতা দেবব্রত সাইকিয়া জানান, বিলটিতে অনেক সমস্যা রয়েছে। তাই আইনজীবীদের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে।
দেবব্রত বলেন, ৫ কিলোমিটারের মধ্যে গোমাংস নিষিদ্ধ করার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু ওই ৫ কিলোমিটার কীসের ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হবে? যেখানে ইচ্ছে পাথর ফেলে মন্দির বানিয়ে ফেলতে পারে যে কেউ। পুরো বিষয়টাই সন্দেহজনক। এর ফলে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা বাড়বে।
বিলটি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্টের বিধায়ক আমিনুল ইসলামও। তার বক্তব্য, গো-সুরক্ষায় এই বিল আনা হয়নি। মুসলমানদের আবেগে আঘাত করাই বিলটির লক্ষ্য, যাতে আরও বিভাজন তৈরি হয়। আমরা এই বিলের বিরোধিতা করছি। সংশোধন করতে আর্জি জানাবো। তবে উত্তর প্রদেশ, গুজরাট, মধ্য প্রদেশ, হরিয়ানা, কর্ণাটক সহ বিভিন্ন রাজ্যে হিন্দুত্ববাদীরা এমন বিল এনে মুসলমানদের খাদ্যাভ্যাসে হস্তক্ষেপ করেছে। তাই এবারে এই বিল ও যে তারা কার্যকর করতে সক্ষম হবে এটা ধরেই নেওয়া যায়। আবার আগামী বছর উত্তর বিধানসভা নির্বাচন, যেখানে সাম্প্রদায়িক তাস বিজেপির প্রধান ভরসা।