ক্যাম্পাসে তারাবির নামাজ পড়ার জেরে মারধর করা হলো গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ বিদেশী ছাত্রকে।
আহত শিক্ষার্থীরা উজবেকিস্তান, আফগানিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং শ্রীলঙ্কার নাগরিক। শিক্ষার্থীরা এ ব্লকে তাদের কক্ষে নামাজ পড়ার সময় একদল লোক নামাজের প্রতিবাদে ধর্মীয় স্লোগান দিলেই উত্তেজনা ছড়ায়।
এরপরই ওই পাঁচ বিদেশী শিক্ষার্থীর উপর হামলা চালানো হয়। আহত পাঁচ ছাত্রকে এসভিপি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ইতিমধ্যেই হামলার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
এ হামলায় অন্তত পাঁচটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা জানান, গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কোনও মসজিদ নেই। হোস্টেলের ভেতরেই তারাবির নামাজ পড়ছিলেন ছাত্ররা। এ সময় লাঠি ও ছুরি নিয়ে একদল জনতা হোস্টেলে হামলা চালায়। এ সময় বিভিন্ন কক্ষও ভাঙচুর করে হামলাকারীরা।
আফগানিস্তানের এক শিক্ষার্থী বলেন, হামলার সময় তারা জিজ্ঞেস করে, কে হোস্টেলে নামাজ পড়ার অনুমতি দিয়েছে? তারপর তারা ল্যাপটপ, ফোন ও বাইকও ভাঙচুর করে। ছাত্ররা বলেন, হামলাকারীদের থামানোর চেষ্টা করলে ব্যর্থ হন ছাত্রাবাসের নিরাপত্তারক্ষীরা।
এই বিশ্ববিদ্যালয়ে এশিয়া, আফ্রিা ও ইউরোপীয় দেশগুলি থেকে আনুমানিক ২০০ শিক্ষার্থী পড়ালেখা করে থাকে। তাদের সবাই হামলা হওয়া এ ব্লকেই থাকে।
এদিকে হামলায় অভিযুক্ত দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন গুজরাটের শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্ষ সাংঘভি।
গ্রেপ্তারকৃতদের নাম হিতেশ মেভাদা এবং ভারত প্যাটেল।
পুলিশ কমিশনার জিএস মালিক বলেছেন, ২০-২৫ জনের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে এবং ঘটনার তদন্ত করার জন্য কর্মীদের নয়টি দল গঠন করা হয়েছে।
এ ঘটনার ব্যাপারে জামালপুর খাদিয়ার কংগ্রেস বিধায়ক ইমরান খেদাওয়ালা বলেছেন, “প্রায় ৩০ জনের একটি দল রাত ১০.৩০ টার দিকে নামাজের সময় ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান দিতে দিতে এলাকায় প্রবেশ করে এবং আন্তর্জাতিক ছাত্রদের উপর হামলা চালায়।