ভাইজানকে ভাঙ্গড় আসনটি ছাড়তে চলেছে বাম ফ্রন্ট, সম্ভাব্য প্রার্থী নওশাদ সিদ্দিকী

নিউজ ডেস্ক : বাম কংগ্রেসের সঙ্গে আব্বাস সিদ্দিকির ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের জোট এর বিষয়টি যে কতটা গুরুত্ব দিয়ে দেখছে বামফ্রন্ট সেটি দেখা গেল এবার। জোটের স্বার্থে এক সময় নিজেদের শক্ত ঘাঁটি ভাঙ্গড় এবার আব্বাস সিদ্দিকীকে ছেড়ে দিতে চলেছেন বামফ্রন্ট। যদিও কংগ্রেসের তরফ থেকে এখনো পর্যন্ত বিষয়টিতে সরাসরি কোন মন্তব্য করা হয়নি তবে তারা বিষয়টি মেনে নেবে বলে মনে করা হচ্ছে। সব ঠিকঠাক চললে ভাঙ্গড় আসনের সম্ভাব্য জোট প্রার্থী হতে চলেছেন আব্বাস সিদ্দিকীর ভাই নওশাদ সিদ্দিকী। উল্লেখ্য গত বারের ভাঙ্গড় থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন বামফ্রন্ট থেকে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করা আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা যিনি বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে নির্বাচিত হয়ে পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রিসভার মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বরত রয়েছেন। এই ভাঙড়েই আক্রমণ হয়েছিল আব্বাস সিদ্দিকীর কনভয়ের উপর। সরাসরি অভিযোগের তীর ছিল তৃণমূল বিধায়ক এবং ওই অঞ্চলের প্রভাবশালী নেতা শওকত মোল্লার দিকে।

এদিকে হাইকমান্ডের চাপে জোট ইস্যুতে নরম বিধান ভবন। জোট জটিলতা ছাড়াতে তৎপর কংগ্রেস শিবির। বামেদের সঙ্গে আব্বাসের দলের আসনরফা চূড়ান্ত। কিন্তু কংগ্রেসের সঙ্গে কয়েকটি আসন নিয়ে ভাইজানের মতপার্থক্য চরমে পৌঁছয়। আটটির বেশি আসন আইএসএফকে ছাড়া হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরি। যাতে ক্ষুব্ধ হন দলের অন্যতম দুই জোট কারিগর আবদুল মান্নান ও প্রদীপ ভট্টাচার্য। জোটের কথাবার্তা চালালেও সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার তাঁদের হাতে ছাড়া হয়নি। সিদ্ধান্ত নিচ্ছিলেন প্রদেশ সভাপতি। ফলে জোটপ্রক্রিয়া শেষ করতে সময় লাগছে। এদিকে, দাবিমতো আসন না পেলে মঙ্গলবার জোট ছাড়ার হুমকি দেন আব্বাস সিদ্দিকি। বুধবার ভাইজান জানান, দু’দিনের মধ্যে কংগ্রেসকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আজ বৃহস্পতিবার নিজেদের অবস্থান জানিয়ে প্রদেশ সভাপতিকে চিঠি দেবেন বলে জানান তিনি। এই পরিস্থিতিতে নড়েচড়ে বসে কংগ্রেস হাইকমান্ড। খোদ সোনিয়ার তরফে ফোন আসে সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্যর কাছে। তাঁর কাছে জোট নিয়ে সোনিয়া গান্ধীর মনোভাব স্পষ্ট করে দেওয়া হয়। চলতি সপ্তাহের মধ্যেই জোট সমস্যার সমাধান করার নির্দেশ দেওয়া হয় বলে বিধান ভবন সূত্রে খবর। প্রদেশ ব্যর্থ হলে হাইকমান্ড হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হবে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়। হাইকমান্ডের কড়া মনোভাব অবস্থান নরম করতে বাধ্য করে প্রদেশ কংগ্রেসকে।

জোটের ব্যাপারে জটিলতা দূর করার জন্য ইতিমধ্যেই আলোচনার প্রস্তুতি চলছে রাজ্যে কংগ্রেসের সমস্ত বড় নেতার মধ্যে। ইতিমধ্যেই আলোচনা সম্পন্ন হয়েছে কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান এবং প্রদীপ ভট্টাচার্যের। কংগ্রেসের দিল্লির হাইকমান্ডের তরফ থেকে জোটের জটিলতা দূর করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে রাজ্যে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির হাতে।

Latest articles

Related articles