বাকি দফার ভোটের আগেই রাজনৈতিক উত্তাপ আরও বাড়িয়ে দিচ্ছেন সায়ন্তন দিলীপের মতো উগ্র গেরুয়া শিবিরের রাজনৈতিক নেতারা। ধূপগুড়িতে বিজেপি প্রার্থীর প্রচারে গিয়ে সায়ন্তন বসু বলেন, ‘খেলতে গিয়ে বাড়াবাড়ি করলে শীতলকুচি খেলা খেলে দেব। সকাল বেলা আমাদের আনন্দ বর্মনকে মেরে দিল। তার জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি আমাদের, শীতলকুচিতে ৪ ঘণ্টার মধ্যেই ৪ টে কে রাস্তা দেখিয়ে দেওয়া হয়েছে। এক মারোগে তো চার মারেঙ্গে, শীতলকুচিতেও তাই করা হয়েছে।’ এ প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা তাপস রায়ের দাবি, সায়ন্তন বসু যা বলেছেন সেটা স্বৈরাচারী বক্তব্য। অবিলম্বে সায়ন্তন বসুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক কমিশন। সায়ন্তন বসুর মন্তব্য থেকেই স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী আত্মরক্ষার্থে গুলি চালায়নি। আর মানুষের মৃত্যু নিয়ে শীতলকুচি খেলা বলা হচ্ছে। নিম্নরুচির পরিচয় দিচ্ছেন সায়ন্তন বসু। মানুষ ভোটে হারিয়ে বিজেপিকে এর যোগ্য জবাব দেবে।’
প্রসঙ্গত, শীতলকুচি কাণ্ডে তৃণমূল কর্মীদের হত্যা নিয়ে গতকাল থেকেই চলছে রাজনৈতিক তরজা। বরানগরে বিজেপির তারকা প্রার্থী পার্নো মিত্রর সমর্থনে নির্বাচনী জনসভায় রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, ‘শীতলকুচিতে এত দুষ্টু ছেলে এল কোথা থেকে? ওইসব দুষ্টু ছেলেরা আর বাংলায় থাকতে পারবে না বাংলায়। বেশি বাড়াবাড়ি করলে জায়গায় জায়গায় শীতলকুচি হবে। দুষ্টু ছেলেরা হয়তো ভেবেছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী বন্দুকটা দেখানোর জন্য এনেছে, তাঁদের বলছি আধা সেনারা শুধু বন্দুকটা দেখাতে আসেনি। দুষ্টু ছেলেরা সেদিন আইন হাতে নিতে এসেছিল তাই বাধ্য হয়ে যোগ্য জবাব দেওয়া হয়েছে।’ কোচবিহারের শীতলকুচি কাণ্ড নিয়ে তৃণমূল–বিজেপি তরজা আরও বাড়বে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।