নিউজ ডেস্ক : গাড়ির সামনে পুলিশ লেখা। আবার সেই পুলিশের গাড়ি ভর্তি বিজেপির সামগ্রীতে। ষষ্ঠ দফা ভোটের ঠিক আগে এই ঘটনায় জোর বিতর্ক দেখা দিয়েছে। গাড়িটি আটক হয় শান্তিনিকেতন থানার রতনপল্লীতে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে গাড়ির চালক ও খালাসিকে। চলমান ভোট গ্রহণ পর্বে বিজেপির সঙ্গে পুলিশ বা কেন্দ্রীয় বাহিনীর এমন যোগসূত্রের অভিযোগ বার বার সামনে এসেছে।
জানা গেছে, বুধবার দুপুরে শান্তিনিকেতন থানার রতনপল্লী এলাকা থেকে একটি গাড়ি আটক করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ‘পুলিশ’ লেখা ওই গাড়িতে বিজেপির মালপত্র রয়েছে বলেই দাবি করেছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।
জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল অভিযোগ করেন, ‘আমরা বারবার বলছি বিহার, উত্তরপ্রদেশ থেকে বহিরাগতদের দিয়ে এলাকায় সন্ত্রাস তৈরি করে ভোট লুট করতে চাইছে বিজেপি। ওই সব বহিরাগতরা এলাকায় বোমা তৈরি করছে বলে আমাদের কাছে খবর আছে। ইতিমধ্যেই বিষয়টি আমি জেলার পুলিশ সুপার, নির্বাচন কমিশনের অবজার্ভার, পুলিশ অবজার্ভারকেও জানিয়েছি। সেই সঙ্গে প্রচুর টাকার খেলা চলছে। আজকে রতনপল্লীতে যে গাড়ি ধরা পড়েছে, পুলিশের সেই গাড়ির ভিতরে বিজেপির পতাকা আছে, নীচে কি আছে জানি না।’
সূত্রের খবর এদিন রতনপল্লীতে একটা ‘পুলিশ’ এর গাড়ি মাল বোঝাই হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দাদের সন্দেহ হয়। তারাই খবর দেন এলাকার তৃণমূল নেতৃত্বকে। এলাকায় গিয়ে দেখা যায় ‘বীজপুর থানা’ লেখা ওই গাড়িতে মাল বোঝাই রয়েছে। খবর দেওয়া হয় শান্তিনিকেতন থানার পুলিশকে। পুলিশের সামনেই কয়েকটা বস্তা নামিয়ে দেখা যায় সেগুলো ভর্তি বিজেপির পতাকায়। পুলিশ ওই গাড়ীটিকে বাজেয়াপ্ত করেছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে আটক করা হয় ওই গাড়ির চালক ও খালাসিকে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ। কিভাবে পুলিশ লেখা গাড়ি বিজেপির হাতে এল এবং এই অপকর্মের জন্য বিজেপির বিরুদ্ধে কমিশন কি পদক্ষেপ নেয় সেদিকে তাকিয়ে আছে সবাই। কমিশন এই ঘটনায় প্রতিবারের মতো বিজেপিকে আড়াল করবে বলে মনে করছেন স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা। কারণ ইতিমধ্যে বিজেপি নেতার গাড়িতে ইভিএম ধরা পড়লেও কমিশন তার বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।